বানিয়াচংয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ঘাতকের স্বীকারোক্তি

4

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ঘাতক রিংকু সরকার (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার (১৮ মে) বিকেলে রিংকু হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সুলতান উদ্দিন আহমেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ঘাতক রিংকু।
নিহত শিশু সুবর্ণা সরকার উপজেলার চিলারাই গ্রামের ধনঞ্জয় সরকারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। এছাড়া আটককৃত রিংকু সরকার একই গ্রামের হগেন্দ্র সরকারের ছেলে।
আদালতে রিংকু জানায়- গত ১৫ মে শিশু সুবর্ণা সরকারকে রাত ৮টার সময় তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ধানের খলায় মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি ডোবায় ফেলে দেয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানায়- ১৫ মে সন্ধ্যায় সুবর্ণা নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পর প্রতিবেশী রিংকুর আচরনে সন্দেহ দেখা দিলে ১৭ মে সন্ধ্যায় ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আবুল কালামের নির্দেশে স্থানীয় লোকজন রিংকু সরকারকে আটক করে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি বানিয়াচং থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রিংকুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
আসামী রিংকুর দেয়া তথ্য মতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। সোমবার দুপুরে নিহত শিশুর পিতা প্রভাত সরকার বাদি হয়ে আসামী রিংকু সরকারের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ আসামিকে আদালতে প্রেরণ করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।