যাদুকাটা নদীর পূর্বতীরে গাঁজা চাষী আটক

10

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের বিশ^ম্ভরপুর থানা এলাকায় হতে ৩৬ (ছত্রিশ) টি গাঁজার গাছসহ ১ জন গাঁজা চাষীকে আটক করেছে র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্প। গত ৩ মে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সুনামগঞ্জ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল লেঃ কমান্ডার ফয়সল আহমদ এর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভরপুর থানার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে বিম্বম্ভরপুর থানাধীন মিয়ারচর গ্রামস্থ মিয়ারচর টেক এর মালিক শামীম আহমেদ সেন্টুর পুকুরের দক্ষিণ পার হতে ৩৬ (ছয়ত্রিশ ) টি গাঁজার গাছ উদ্ধারসহ মোঃ গোলাপ মিয়া (৪৬), পিতামৃত আলী, সাং-মিয়ারচর, থানা-বিশ^ম্ভরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জকে আটক করেছে। জব্দকৃত আলামত এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ^ম্ভরপুর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬(১) এর সারণি ১৮(ক) মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ^ম্ভরপুর থানা পুলিশ আটককৃত গোলাপ মিয়াকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। কিন্তু গাঁজাচাষী মিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র শামীম আহমেদ সেন্টু ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যায়। কোম্পানী অধিনায়ক উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার ফয়সল আহমদ বলেন, আমরা হাতেনাতে একজনকে পেয়ে আটক করেছি। কিন্তু ঘটনার মূল হোতা শামীম আহমেদ সেন্টুকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আটক করার চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে শামীম আহমদ সেন্টুর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জমি পুকুরের মালিক আমি বটে। আটককৃত গোলাপ মিয়া আমার নিয়োজিত পাহাড়াদার। আমি সুনামগঞ্জ শহরের নতুনপাড়ায় বসবাস করি। বাড়ীতে গাজা চাষের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এদিকে এলাকাবাসী বলেন, শামীম আহমেদ সেন্টু একটি চাঁদাবাজ বাহিনী গঠন করে মিয়ারচর টেক এর সামনে দিয়ে যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর উত্তোলনকারী নৌকা কার্গো বাল্কহেড আটকিয়ে বিভিন্ন রেটে চাঁদা আদায় করতো। এবং চাঁদাবাজীর টাকায় সে শহরে ও গ্রামের বাড়িতে অনেক ভবন বিল্ডিং এর মালিক হয়েছে। এলাকাবাসী সেন্টুকে আটকের জন্য র‌্যাবের মহাপরিচালকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।