করোনায় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে দেশের ৬টি কোম্পানি

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানি। এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা দুটি কোম্পানি চলতি মাসেই বাজারে আনতে যাচ্ছে এই ওষুধ।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, রেমডেসিভির আসলে একটি পুরনো ওষুধ। ইবোলার চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের বেলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ এই ওষুধটি জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হতে পারে এমন ধারনা থেকে দেশে এই ওষুধটি উৎপাদনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এজন্য তারা উৎপাদক কোম্পানি বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা, স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে ওষুধটি তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে। এই ছয়টি কোম্পানির মধ্যে এসকেএফ ও বেক্সিমকো রেমডিসিভির উৎপাদনে অনেকখানি এগিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
চলতি মাসের মধ্যেই দেশের দুই প্রস্তুতকারক কোম্পানি আর জুনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাকি চারটি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভির বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওই সূত্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধটি পাওয়া যাবে বলে উৎপাদক কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেন ও’ডে জানিয়েছেন।
রবিবার এক ঘোষণায় ডেন বলেছেন, তারা এই সপ্তাহেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের কাছে ওষুধটি পৌঁছে দিতে চান।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর রেমডেসিভির যত দ্রুত ব্যবহার করা যায় তত বেশি এটি কার্যকর বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ওষুধ ব্যবহার করা রোগীদের সুস্থ হতে যেখানে ১৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। আর রেমডেসিভির প্রয়োগ করা রোগীরা মোটামুটি ১১দিনেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টার পাশাপাশি ভাইরাসটির ভ্যাকসিন ও কার্যকর ওষুধ তৈরিতে বিভিন্ন দেশ উঠেপড়ে লেগেছে।
বর্তমানে করোনা চিকিৎসায় বাজারে বিদ্যমান কয়েকটি পুরনো ওষুধ দিয়েই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চালিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রেমডেসিভির অন্যতম।