ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, সন্ধ্যার পর বের হলে ব্যবস্থা, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবে না

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থ দফায় ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ছয়টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। সেই সাথে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই কথা বলা হয়। প্রজ্ঞাপনে নতুন করে আগামী ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আরও ১১ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই ছুটি অন্যান্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। ছুটির সময়ে নিচের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে-
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।
অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো।
বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনেও অফিস খোলা রাখা যাবে।
প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ৪২৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭ জন। করোনা ঠেকাতে সাধারণ ছুটি চলছে সারা দেশে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।