শাবিতে বেনামে শ্বেতপত্র বিতরণের অভিযোগে আটক ৩

8

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের নিকট বেনামে শ্বেতপত্র বিলির সময় তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিভিন্ন শিক্ষক কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন মোঃ শামীম আহমদ, বিভাষ চক্রবর্তী ও প্রান্ত দাস। আটককৃতরা নিজেদেরকে কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারী ম্যান হিসাবে পরিচয় দিলেও তাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণাদি না থাকার অভিযোগে আটক করা হয় রলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ১৯/১/২০ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের নিকট বেনামে একটি শ্বেতপত্র আসে। বিষয়টি অবগত করে জালালাবাদ থানা, সিলেট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। গতকাল ২২/১/২০ তারিখ দুপুর ১২.৪০ এ মোঃ শামীম আহমদকে শিক্ষা ভবন-ই থেকে ১৫টি খামবন্দী শ্বেতপত্র বিলি করার সময় তাকে আটক করা হয়। শ্বেতপত্রে শাবিপ্রবির বর্তমান উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর বিভন্ন অপকর্মের বিবরণ লেখা আছে। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ডেলিভারীম্যানের কোন প্রমাণ না থাকায় এবং সন্দেহের উদ্বেগ হওয়ায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ডেলিভারী সার্ভিসের অফিস সহকারী বিভাষ চক্রবর্তী ও বুকিং সহকারী প্রান্ত দাসের নাম প্রকাশ করে এবং তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু তাদেরও কথাবার্তা ও আচার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় এবং কুরিয়ার সার্ভিসের কোন আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে না পারায় তাদেরকে শ্বেতপত্র তৈরীর সদস্য মনে হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকার জনগণের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি, ভীতি সঞ্চার এবং ক্ষতিকর কাজ বা ক্ষতিকর কাজ সংগঠনের উসকানি দানের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে তাদেরকে জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মোঃ ইশফাকুল হোসেন।
আটককৃতদের ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি ওকিল উদ্দিন বলেন, ‘আটককৃতদের ৫৪ ধারায় অভিযোগ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আজ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রথম শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়। এটিকে শ্বেতপত্রের ‘দ্বিতীয় কিস্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।