নিউইয়র্ক স্টেইটের সিনেটরদের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ॥ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন

6
সিলেট চেম্বারের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেইটি সিনেট এর সিনেটের লুইস আর সেপুলভেদা।

গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার চেম্বার কনফারেন্স হলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেইট সিনেট এর পাঁচজন সিনেটর ও প্রতিনিধিদলের সাথে সিলেট চেম্বার এর নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেইটের সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা, সিনেটর জন চুন ইয়াহ লিউ, সিনেটর জেম্স স্কউফিস, সিনেটর কেভিন এস. পারকার ও সিনেটর লেরয় কমরি।
সভায় মার্কিন সিনেটরগণ বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো কোম্পানী বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করেছে এবং নতুন অনেক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা উল্লেখ করেন, অফিসিয়ালি ৬ লক্ষ বাংলাদেশী নিউইয়র্কে বসবাস করেন এবং নিউইয়র্কের অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। শুধু নিউইয়র্ক নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটি সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। আমরা বাংলাদেশের সাথে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে এই সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি সফর করেছে জানিয়ে সিনেটরগণ বলেন, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা নিউইয়র্কে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিতে পারে। সিনেটরগণ সিলেট চেম্বার অব কমার্সের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চেম্বারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন তার কূটনৈতিক দক্ষতায় বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন সাধনের পাশপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তিনি বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। দারুণ সম্ভাবনাময় সিলেটকে ভবিষ্যত বাংলাদেশের ‘ইকোনমিক ইঞ্জিন’ হিসেবে দেখা হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভান্ডার সিলেট অঞ্চল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী। তিনি সিলেটের শিল্প, পর্যটন, শিক্ষা ও আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সিলেট সহ সারা দেশে একশটি ইকোনমিক জোন স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়াও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এসব মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা দারুণভাবে লাভবান হতে পারেন। তিনি বাংলাদেশী পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য আমেরিকান ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণের অনুরোধ জানান। তিনি নিউইয়র্ক সিনেট কর্তৃক জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাষণের দিবসকে সম্মান জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বাংলাদেশী ইমিগ্রান্ট ডে ঘোষণার জন্য নিউইয়র্কের সিনেটরদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি