কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বড়চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রোমানা আক্তারকে জোর পূর্বক ভাবে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবারের লোকজন দাবী করেছেন। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও রোমানা আক্তারকে ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগে জানা যায় কানাইঘাট সদর ইউপির আগ্রীপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে বড়চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী রোমানা আক্তার (১৪) কে একই গ্রামে সামছুল হকের পুত্র বখাটে বাবুল আহমদ (২৪) স্কুলে আসা যাওয়া সহ রাস্তাঘাটে প্রায়ই উত্যক্ত করত। রোমানা আক্তারের পরিবারের কাছে বখাটে বাবলু আহমদ বিয়ের প্রস্তাবও পাঠায়। রোমানা আক্তার নাবালিকা হওয়ায় বাবলুর বিয়ের প্রস্থাব প্রত্যাখান করেন তার পিতা আব্দুর রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ মার্চ রাত অনুমান ৯ টার দিকে স্কুল ছাত্রী রোমানাকে তার নিজ বাড়ীতে থেকে বাবলু আহমদ সহ তার সহযোগি একই গ্রামের আব্দুর রকিব মড়া মিয়ার পুত্র নিজাম উদ্দিন (৩৪), আব্দুস সালামের পুত্র রুহুল আমিন (২২), আফতাব উদ্দিনের পুত্র ইমরান আহমদ (২৩) একটি অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ীতে উঠিয়ে জোর পূর্বক ভাবে তোলে নিয়ে যায়। এ সময় মেয়েকে অপহরণকারীদের হাত উদ্ধার করতে এগিয়ে গিয়ে রোমানার মা সোনাবান বিবি আহত হন। এ ঘটনার পর অপহরণকারী বাবলু আহমদের কবল থেকে তার কিশোরী মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রোমানা আক্তার কে উদ্ধার করার জন্য কানাইঘাট থানায় ১৯ মার্চ বাদী হয়ে তার পিতা আব্দুর রহমান অপহরণকারী বাবলু আহমদ সহ ৪ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অদ্যাবধি পর্যন্ত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই হুমায়ুন কবির স্কুল ছাত্রী রোমানা কে উদ্ধার বা অপহরণকারী বাবলু আহমদকে আটক করতে পারেনি বলে তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এদিকে রোমানা কে ফিরে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন একেবারে ভেঙ্গে পড়েছেন। রোমানার বাবা অসহায় আব্দুর রহমান তার মেয়ে কে উদ্ধার করতে সিলেটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষও রোমানাকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন।
