তাহিরপুরে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে একাধিক প্রকল্পে নেই আশানুরূপ অগ্রগতি

52

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
২৮ ফেব্রুয়ারি বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের সময় সীমা শেষ। হাতেগুনা কয়েকটি প্রকল্পে কাজের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অগ্রগতি হলেও অধিকাংশ প্রকল্পে নেই কাজের তেমন অগ্রগতি। তাহিরপুরে ২৩টি ছোট-বড় হাওরে ৬৬টি প্রকল্পে সরকারের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে একটিও প্রকল্পেও শতভাগ কাজ হয়নি। এমনটাই জানা গেল বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে সেই সাথে হাওরে বাঁধ সংশ্লিষ্ট কৃষকদের সাথে কথা বলে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রকল্পাধীন বোরো ফসল রক্ষায় ৬৬টি প্রকল্প রয়েছে উপজেলার শনি, মাটিয়ান মহালিয়া, আঙ্গারুলি, ধরুন্দ সহ ২৩টি ছোট বড় হাওরে। তন্মধ্যে মধ্যে শনির হাওরে প্রকল্পগুলোর কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেলেও তেমন ভাবে অগ্রগতি চোখে পড়েনি মাটিয়ান কিংবা মহালিয়া হাওরের প্রকল্প গুলিতে।
এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একাধিকবার বিভিন্ন হাওরের প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবদের নিয়ে একাধিক বার মতবিনিময় সভা করেন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য। এমনকি কাজের গাফিলতির কারণে দু’দুবার মাটিয়ান হাওরের একাধিক অনগ্রসর প্রকল্পের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ সাধারণ সদস্যদের আটক করেন এমনকি তাদের মধ্যে দু’জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করেন। তার পরেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজের তেমন উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি চোখে পড়েনি হাওরবাসীর। বিশেষ করে মাটিয়ান হাওরের প্রকল্প নং ৪৭ মিজানুর রহমান, ৪৬ সিরাজুল হক এবং ৫৩ প্রকল্পে বদিউজ্জামাল এর প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি খুব কম।
তাছাড়া একই হাওরে-৫৬নং প্রকল্পে সিরাজ মিয়া, ৫৫নং প্রকল্পে শফিকুল ইসলাম, ৫১নং প্রকল্পে মইনুল ইসলাম, ৪৯নং প্রকল্পে শাহ আলম, , ৫০নং প্রকল্পে আনোয়ার হোসেন, ৫৪নং প্রকল্পে মহিবুর রহমান, ৪৪নং প্রকল্পে আব্দুল জলিল তালুকদার, ৩৫নং প্রকল্পে গোলাম কিবরিয়া, ২৮নং প্রকল্পে আব্দুল হাই, ২০ নং প্রকল্পে আলম মিয়া, ৯নং প্রকল্পে ফজলুল হক এবং ১২নং প্রকল্পে গোলাম সরোয়ার ডালিম সহ ১৫ টি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আরো বেশ কিছু দিন।
অপর দিকে অবশিষ্ট ৫১টি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও ঐ সমস্ত প্রকল্পে এখনো ড্রেসিং, বাঁধে জিও টেক্সটাইল ও বস্তা সেটিংয়ের ও ঘাস লাগানোর কাজ এখনো বাকি রয়েছে।
মাটিয়ান হাওর ৬৩ ও ৬৪ নং প্রকল্প সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, মাটির কাজ শেষ,এখন প্যালাসাইটিং এর কাজ বাকি আছে। দু’একদিনে মধ্যে শেষ করতে পারবো। একই প্রকল্পে তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত দেবনাথ বলেন, আরও দু’তিন দিন লাগবে কাজ শেষ করতে।
অপরদিকে মাঠিয়ান হাওরের ৪৭ নং প্রকল্পের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, কাজ চলাকালীন সময দু’বার এসকেভেটর হাওরের নরম মাটিতে ধেবে যাওয়ায় তার প্রকল্পে কাজ শেষ করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলায় দায়িত্বরত সুনামগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, দু’তিনটি প্রকল্পে কাজের তেমন অগ্রগতি নেই, তাছাড়া অবশিষ্ট প্রকল্পে কাজ প্রায় শেষের পথে।
উল্লেখ্য সরকারের বেধে দেয়া সময় সীমা শেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে বোরো ফসল রক্ষায় হাওরের বেড়িবাঁধ, ক্লোজার বাঁধ সম্পন্ন করার কথা।