আজ শুভ বড়দিন

103

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস)। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আজ থেকে ২ হাজারেরও বেশি বছর আগে এই শুভদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বেথেলহামের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নেন যিশু। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন, কোন পুরুষের সঙ্গম ছাড়াই যিশুখ্রিস্টের জন্ম, সেই অর্থে তিনি ঈশ্বরের পুত্র। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সেখান হতেই বিকশিত হয় মুক্তির এই আলোকদিশারী। যার স্পর্শে পাপের আবর্তে নিমজ্জিত সে সময়ের মানুষের অন্তরে এনে দেয় শান্তির পরশ। এদিকে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এ বছর ভিন্ন একটি পরিবেশে পালিত হবে বড়দিন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বড়দিনের আনন্দমুখর পরিবেশে মুখর দেশ। দেশবাসীকে বড়দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খ্রীস্টান সম্প্রদায়। ইতোমধ্যে বড়দিন পালনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জা ও বড় হোটেল রংবেরঙের বিজলিবাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। খ্রীস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের অনেকের ঘরেই বসানো হয়েছে প্রতীকী গোশালা। বেথেলহামের গরিব কাঠুরিয়ার গোয়ালঘরেই যিশুখ্রিস্টের জন্ম। সেই ঘটনা স্মরণ করে বাড়িতে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি করতেই এটি করেন যিশুর অনুসারীরা। বড়দিনের কেনাকাটা অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রার্থনাসভার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রাতে প্রার্থনার বিশেষ মাহাত্ম্য হচ্ছে, পৃথিবীতে যিশুর আগমন উপলব্ধি। কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে রাতে প্রধান প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনে ও বেসরকারী টিভি চ্যানেলসমূহে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। দিনটি সরকারী ছুটির দিন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনুসারীরা আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে দেশের খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।