ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডে নাটকীয় টাই

32
West Indies cricketer Shimron Hetmyer plays a shot during the second one day international (ODI) cricket match between India and West Indies at the Dr. Y.S. Rajasekhara Reddy ACA-VDCA Cricket Stadium in Visakhapatnam on October 24, 2018. (Photo by NOAH SEELAM / AFP) / —-IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE – STRICTLY NO COMMERCIAL USE—– / GETTYOUT

স্পোর্টস ডেস্ক :
মনে রাখার মতো একটা ম্যাচ খেলল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে ম্যাচে কেউ হারেনি। জিতেছে ক্রিকেট। নাটকীয় এক টাই ম্যাচ উপভোগ করেছে ক্রিকেট দুনিয়া।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত করেছিল ৬ উইকেটে ৩২১। শেষ দিকে চরম নাটকীয়তা বজায় রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ৭ উইকেটে সেই ৩২১ রানেই।
৩২২ রানের টার্গেট অসম্ভব মনে হলেও হোপ এবং হেটমায়ারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে সফরকারীরা। এক পর্যায়ে ২১ বলে মাত্র ২৪ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে উইকেট ৫টি। ক্রিজে ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান হোপ। মানে সহজ সমীকরণ ছিল ক্যারিবিয়ানদের সামনে। কিন্তু ৪৮তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান স্পিনার চাহাল।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। হোপ উইকেটে ছিলেন বলে আশাও ছিল। কিন্তু জয় ভাগ্যটা সহায় ছিল না তাদের। তিন বলে ৭ রান। এরপর শেষ বলে দরকার ৬ রান। ছক্কা হাঁকাতে পারলেই হতো। কিন্তু হোপের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। এভাবেই নাটকীয়ভাবে ম্যাচটা টাই হয়ে যায়। ১৩৪ বলে ১২৩ করে অপরাজিত থাকেন হোপ। ৬৪ বলে ৯৪ করেন হেটমায়ার।
এর আগে কোহলির ১২৯ বলে ১৫৭ রানে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় ভারত।
বিশাখাপতনমে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচে শতরানকারী রোহিত শর্মা এদিন চার রান করেই ফিরে যান ইনিংসের শুরুতে। এরপর শিখর ধাওয়ান ২৯ রানে ফিরতেই ভারতীয় ইনিংসের ব্যাটন এসে পড়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দশ হাজার রানের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা কোহলির উপর। ৪০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অধিনায়কের সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান রায়ডু।
৮০ বলে ৭৩ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে কোহলির সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ১৩৯ রান। এরপর রায়াডু ফিরলেও থামানো যায়নি বিরাট রান মেশিনকে।
ব্যক্তিগত ৮১ রানে পৌঁছতেই পঞ্চম ভারতীয় এবং বিশ্ব ক্রিকেটে ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে দশ হাজারি এলিট ক্লাবের সদস্য হয়ে যান বিরাট। ২০৫ ইনিংসে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই নজির গড়েন তিনি।এরপর ৪৪ তম ওভারের স্যামুয়েলসের পঞ্চম বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ওয়ান ডেতে ৩৭ তম শতরানের মালিক হন বিরাট। ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তাঁর ৫৯ রানের পার্টনারশিপ ভারতের ইনিংসকে তিনশোর ঘরে নিয়ে যায়। উইন্ডিজ বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়ে শেষ অবধি ১২৯ বলে ১৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি।