মহাসপ্তমী ও কুমারী পূজা আজ

150

কাজিরবাজার ডেস্ক :
পূজার ঢাকে পড়ল কাঠি। দিকে দিকে এখন দেবীর বন্দনা। দেবী দুর্গার আগমনে চারদিকে চলছে আনন্দ আয়োজন। ম-পে ম-পে এখন আনন্দময়ীর আগমনী স্তুতি। থিমের অভিনবত্ব থেকে রকমারি আলোর সাজÑ গোটা দেশ এখন বারোয়ারি শারদোৎসবে মাতোয়ারা। তবে নিয়ম-নিষ্ঠার ফাঁকি নেই এতটুকু। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের অগ্রভাগে সোমবার ষষ্ঠী পূজা এবং সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস বেশ ভালই কেটেছে। ঘট পূজা শেষে আজ মঙ্গলবার মহাসপ্তমীতে শুরু হবে মূর্তি পূজা। চক্ষুদান করা হবে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার। খুলে যাবে দশপ্রহরণধারিণী ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার অতল স্নিগ্ধ চোখের পলক।
আর এই ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে সূচিত হয়েছে পাঁচ দিনের শারদোৎসব, দুর্গা পূজা। খ—গ-কৃপাণ, চক্র-গদা, তীর-ধনুক আর ত্রিশূল হস্তে শক্তিরূপেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধে ম-পে ম-পে ঠাঁই নিয়েছেন। ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ ও উলুধ্বনি আর ভক্তকুলের আবাহনের মন্ত্রোচ্চারণে দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আগমন ঘটেছে। পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, মন্দিরে মন্দিরে ধূপ-ধুনোয় ভক্তদের নৃত্য আরতি, আর ঢাক-ঢোল, কাঁসর-মন্দিরার পাশাপাশি মাইকের আওয়াজে এখন মাতোয়ারা সারাদেশের সকল পূজামন্ডপ। আনন্দময়ীর আগমনী সুরে অনুরণিত এখন চারদিক।
ভক্তদের পূজা গ্রহণের জন্য দুর্গা দেবীর মর্ত্যে আগমনের পর সোমবার ষষ্ঠী তিথিতে ম-পে ম-পে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার অধিষ্ঠান হয়। সকাল নয়টা ২৫ মিনিটের মধ্যে ছিল ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। এ সময় বেলতলা কিংবা বেলগাছের নিচে দেয়া হয় ষষ্ঠী পূজা। দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙ্গার জন্য করা হয় বন্দনা পূজা। সায়ংকালে দুর্গা দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব ম-পে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শারদোৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। এর পর সকালে বেল, ধান, কলা, মান, জয়ন্তীসহ নয়টি উদ্ভিদের সমন্বয়ে দেবী দুর্গার নয়টি রূপ একত্রে করে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে। পূজাশেষে অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন থাকবে। রাতে হবে আরতি। এভাবে উৎসব চলবে আগামী শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।