সড়ক পরিবহন আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ ॥ ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম

25

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কিছু ধারা সংশোধনের দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা পৌর বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ করে। পরে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশসকের নিকট ৮টি দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী, সহ-সভাপতি শাহ হাবিবুর রহমান জিতু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ারিছ মিয়া, সাইদুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ। এদিকে আন্দোলন উপলক্ষে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সব সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী বলেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়া সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এ এমন কিছু বিষয় ও ধারা যুক্ত করা হয়েছে যা পরিবহন শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকাকে জটিল করে তুলবে। অথচ সড়ক পরিবহন একটি দেশের রক্ত প্রবাহের মতো। দেশের রক্ত প্রবাহকে সচল রাখার জন্য ৭০ লাখ পরিবহন শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের অবদানকে স্বীকৃতি না দিয়ে তাদেরকে অপরাধি ও প্রতিপক্ষ ভেবে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা এ মানবিকতা ও আইনের সংশোধন প্রত্যাশা করি। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখে সকল মামলায় জামিনযোগ্য বিধান যুক্ত করা, শ্রমিকদের দন্ডে ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডের বিধান যুক্ত করা, সড়ক দুর্ঘটনা জটিলতর মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণীর পরিবর্তে ৫ম শ্রেণী নির্ধারণ, কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা এবং আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে।