ওসমানীনগরে নাশকতার পরিকল্পনার দায়ে বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক সহ ১৬ নেতাকর্মী জেল হাজতে

52

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নিজকরনসী গ্রামের বিএনপি নেতা সৈয়দ কওছর আহমদের বাড়ি অভিযান চালিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির করনসী গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোতাহির আলী, সাধারণ সম্পাদক ও দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন, গোয়ালাবাজার ইউপি বিএনপির সভাপতি সৈয়দ কওছর আহমদ, বিএনপি নেতা মোঃ ইমাদ উদ্দিন লিলু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আবু কয়েছ আহমদ চৌধুরী, মোঃ কামাল আহমদ পারভেজ, মোঃ হাদিছ খান, গোলাম মোঃ আতিকুল আলম, মোঃ শরিফ আহমদ চৌধুরী বাচ্চু, মোঃ জিন্নাত দাই গাউহার কমরু, মোঃ সাজন আলী, মোঃ আবুল মন্নান, মোঃ আবুল কালাম ও মোঃ রকিব আলী। আটককৃতদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসমানীনগর থানার এসআই আনোয়ার বাদী হয়ে সোমবার রাতে নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৩। মামলায় অনান্য অভিযুক্তরা হলেন- বিএনপি নেতা মোঃ এমরান রব্বানী, আব্দুর রউফ, মুক্তার আহমদ বকুল, আনহার আহমদ, রায়হান আহমদ, শাহ এহিয়া, নজরুল ইসলাম, ফজর আহমদ জনি, শাহেদ আহমদ, ফুজায়েল আহমদ, আহবাবুল হোসেন, সৈয়দ শাহাজান, হারুন মিয়া, মানিক মিয়া, মুজিবুর রহমান, জিলু মিয়া, ইমরুল মিয়া। মামলায় ৩৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৪০জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন- নাশকতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় অনান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।