দুর্বল পানামাকে উড়িয়ে শেষ ষোলর পথে ইংল্যান্ড

48

স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ইংল্যান্ড-পানামা ম্যাচে গোলের পর গোল দেখলেন ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথমবার বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া মধ্য আমেরিকার দেশটিকে নিয়ে মোটামুটি ছেলেখেলাই করলো ইংল্যান্ড।
রবিবার (২৪ জুন) গ্র“প পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পানামাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হ্যাট্রিক করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
শুরু থেকে পানামাকে চেপে ধরে আক্রমণের প্রদর্শনী সাজান জোন্স-কেইনরা। তাতে সাফল্যও আসে ৮ মিনিটেই। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা পানামা এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলে। ফলে ম্যাচের ২২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান কেইন। এরপর শুধু গোলের দৃশ্য। তাতে গুনেগুনে প্রথমার্ধেই পানামার জালে পাঁচবার বল জড়ান ইংলিশরা। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে ইংল্যান্ডের প্রথম।
জন স্টোনস খেলার ৮ ও ৪০ মিনিটে ১টি করে দু’টি গোল, ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন খেলার ২২ ও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত ১ মিনিটে ২টি আলাদা পেনাল্টি থেকে দু’টি গোল এবং জেসে লিংগার্ড খেলার ৩৬ মিনিটে ১টি গোল করেন।
আর ৬২ মিনিটে আরেকটি গোল করে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হ্যাট্রিক করেন ইংলিশ অধিনায়ক। এরপরই মাঠ ছাড়েন কেইন। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে কেইনের আগে ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্ট ও ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকারের হ্যাট্রিকের ইতিহাস রয়েছে।
এ ম্যাচের মাধ্যমে আরেকটি গোলের ম্যাচ দেখলেন ইংলিশ দর্শকরা।
শনিবার (২৩ জুন) বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া ম্যাচেও সমান ৭ গোল দেখা যায়। তবে পানামার বিপক্ষে ইংলিশদের ৬ গোল এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো দলের সর্বোচ্চ স্কোর।
টানা দুই ম্যাচ জয়ে ‘থ্রি লায়ন’ ইংল্যান্ডের শেষ ষোলো প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো। আর বাদ পড়লো নবাগত পানামা। একইসঙ্গে এই গ্রুপ থেকে নকআউট প্রায় নিশ্চিত ‘রেড ডেভিল’ বেলজিয়াম। গ্রুপের অপর দল তিউনিসিয়া।
বিশ্বকাপে পানামার পক্ষে প্রথম ও একমাত্র গোলটি করেন ফিলিপ বেলয়। আর্মব্যান্ড পরিহিত পানামার অধিনায়কের গোলটি আসে ৭৮ মিনিটে। ইতিহাসে নাম লেখানো গোলের পর মাঠে অবস্থিত দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ বয়ে যায়।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে ‘বুড়োদের’ গোল করার তালিকায় চতুর্থ নামটি এখন ফিলিপের। ৩৭ বছর ১২০ দিন বয়সী ফিলিপের আগে থাকা অপর তিনজন হলে রজার মিলা (৪২ বছর ৩৯ দিন), সুইডেনের গুনার গ্রিন (৩৭ বছর ২৩৬ দিন) ও মেক্সিকোর কৌতিমচ ব্লানচো (৩৭ বছর ১৫১ দিন)।
এর আগে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্বাগতিক ব্রাজিলের জালে প্রথমার্ধে ৫ বার বল জড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ১৯৭৪ সালে ডিআর কঙ্গোর জালে ৬ বার, একই বছর হাইতির জালে পোল্যান্ড ৫ বার ও ১৯৫৪ সালে অস্ট্রিয়ার জালে সুইসরা ৫ বার বল জড়িয়ে প্রথমার্ধে অন্তত ৫ গোল দেওয়ার তালিকায় রয়েছে।