জেএসসিতে পরীক্ষা কমল তিনটি, নম্বর কমছে ২০০

38

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি ও সমমানের মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুলে জেএসসিতে ৮৫০ নম্বরের বদলে এখন থেকে পরীক্ষার্থীরা ৬৫০ নম্বরে পরীক্ষা দেবে। আর জেডিসিতে ১০৫০ এর বদলে ৯৫০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। জেএসসিতে পরীক্ষা কমবে তিনটি, জেডিসিতে দুইটি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সুপারিশের আলোকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে সাতটি বিষয়ে যথাক্রমে ৬৫০ ও ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। সেটি আমরা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জেএসসিতে বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এরমধ্যে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১৫০ নম্বরে এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হতো।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলা প্রথমপত্র এবং দ্বিতীয়পত্র মিলিয়ে একটিই পরীক্ষা হবে আর এর নম্বর হবে ১০০। একইভাবে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র নিয়েও পরীক্ষা হবে একটিই। এর নম্বরও হবে ১০০।
গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় আগের মতোই ১০০ নম্বর করে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়া হবে।
১০০ নম্বরের চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও আর দিতে হবে না। এখন থেকে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে এর।
একইভাবে জেডিসিতেও বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ১০০ নম্বর এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ১০০ নম্বর পরীক্ষা নেয়া হবে। বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা আগের মতোই হবে।
শিক্ষা সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর লেখাপড়ায় চাপ দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় বিষয় ও নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে শিখন ফলাফল অক্ষুণ্ন রেখে নম্বর এবং বিষয় কমানো হয়েছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী সঠিক শিক্ষাটা আয়ত্ব করতে পারে।’
বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যানদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিষয় এবং নম্বর কমানো হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সে অনুযায়ী সিলেবাসও তৈরি করা হবে। যেহেতু বিষয় এবং নম্বর কমান হয়েছে তাই শিক্ষার্থীদের উপর এর কোনো চাপ পড়বে না।’
শিক্ষাসচিব বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা কারিকুলামে হাত দেব। তখন আরও বড় আকারে বিষয় কমবে। কারণ তখন আমরা সবকিছু ভাবনা চিন্তায় রেখেই কারিকুলাম করব। যাতে শিক্ষার্থীরা চাপে না পড়ে।’
চলতি বছরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে কি না এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘হঠাৎ করে এমসিকিউ বাদ দেয়া যাবে না। তবে আমরা সিস্টেমে পরিবর্তন আনব। হয়তো শিক্ষার্থীদের একলাইন লেখা লাগতে পারে।’