নবীগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২

22

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় থেমে থাকা ট্রাকে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা লেগে চাপা পড়ে ট্রাকচালক এবং নানু মিয়া নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকের হেলপারসহ আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রোকনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাকচালক কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সোহেল আহমেদ এবং পথচারী নানু মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মহাসড়কের রোকনপুর এলাকায় সিলেটগামী একটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে নিচে কাজ করছিলেন চালক ও হেলপার। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের নিচে থাকা চালক সোহেল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আহত হন ট্রাকের হেলপার আব্দুল মমিন এবং পথচারী নানু মিয়া ও রাসেল মিয়াসহ চারজন।
এদিকে, মহাসড়কের পাশে কোনো ঘরবাড়ি এবং সেখানে কোনো লোকজনের উপস্থিতি না থাকায় সকাল ১১টা পর্যন্ত মরদেহ ও আহতরা ট্রাকের নিচেই পড়েছিলেন। একপর্যায়ে আহতদের চিৎকার শুনে ঢাকাগামী অন্য একটি ট্রাক মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ শেরপুর হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করে এবং আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে নানু মিয়ার মৃত্যু হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, একটি ট্রাক মরদেহটি ও চিকিৎসার জন্য আহতদের উদ্ধার করে শায়েস্তাগঞ্জ নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমরা আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ঘটনাস্থলটি শেরপুর হাইওয়ে থানার অধীনে হওয়ায় আমরা ট্রাকচালক সোহেলের মরদেহটি গ্রহণ করিনি।
এদিকে, শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত সোহেলের মরদেহ শেরপুর হাইওয়ে থানায় রয়েছে।