সুনামগঞ্জে নদী খননের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা ও বাঁধ তদারকিতে সেনাবাহিনী নিয়োগের আহবান

33

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নজির হোসেন অবিলম্বে হাওর রক্ষা বাঁধ মেরমত তদারকির জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগ ও হাওর অঞ্চলের নদী খননের জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ প্রকল্প হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গাড়ীতে পারাপারের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার বুক ফুলিয়ে গর্ব করেন, আমাদেরকে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে এক কোটি লোকের বাসস্থান হাওর সভ্যতাকে বাঁচিয়ে আরো বেশী গর্ব করতে পারেন সরকার। হাওরবাসীর বিপদ গভীর থেকে গভীর হচ্ছে, সমাধানের কথা ভাবা জরুরী। এ ব্যাপারে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি আরো বলেন, অকাল বন্যার আশংকা এজন্য ডুবন্ত বাঁধ তত্ত্বে ক্লোজার এবং আফর মেরামত হচ্ছে। এতে হাওরবাসীর ফসল রক্ষা হবে কিনা তার নিশ্চয়তা কোথায়? এবার বড় সমস্যা হয়ে আছে জলাবদ্ধতা, জলাবদ্ধতার কারণে ফসল বুনার কাজই এক মাস পিছিয়েছে। তাই ধান পাকাও একমাস পিছাবে ঐ সময়তো মৌসুমী বন্যায়ই হাওরই তলিয়ে যাবে। এবারে হাওর রক্ষার প্রধান বিপদ জনদাবী উপেক্ষা করে দলীয় পিআইসি গঠন, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বাঁধ নির্মাণের চেয়ে অধিকতর প্রাধান্য পাবে এ বিষয়ে কৃষক সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় কেউই নজর দিচ্ছেন না, সুরমা কুশিয়ারা অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচুর গবেষণা আছে। ফ্যাপ-৬, ফাও এর রিপোর্ট, পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের গবেষণা রিপোর্ট সর্বশেষ হাওর মাষ্টার প্ল্যান কোনটারই সরকারী নাড়াচাড়া দেখছি না কেন?
আমরা হাওর বাসী আর হাওর সভ্যতা কি বিলীন হয়ে যাবে? সুরমা কোশিয়ারার মিলন স্থল চান্দোপাড়া থেকে মেঘনা নদী কয়েক মাইল খনন না করলে আমাদের জলাবদ্ধতার বিপদ দূর হবেনা কিন্তু এটা তো দীর্ঘ মেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণের অংশ। তত্ত্বের ঝগড়ার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। ইসিএ ডুবন্ত বাঁধতত্ত্ব বাইডাইভারসিটি, হাওর ডেফিনেশন, পরিবেশ ইউটেলিটি, পরিবেশ প্রতিবেশ ধারণা এই সকল তত্ত্বের বেড়াজালে সরকার বিভ্রান্ত হন। এ সবে বিভ্রান্ত না হয়ে হাওরবাসীর স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এবং এ দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলার জন্য হাওরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নজির হোসেন।