নবীগঞ্জে সিএনজিতে শিক্ষার্থীকে না উঠানোকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ

35

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার আইনগাঁও টু নবীগঞ্জ সড়কে কলেজ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সিএনজি (অটো রিক্সা) না উঠানো এবং বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে  ভুক্তভোগী  শিক্ষাথীরা। এর আগে বুধবার সকালে বাউসা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে রাখে দিনারপুর কলেজ ও শাহ তাজ উদ্দিন কুরেশী (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশকয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  কয়েকশতাধিক ছাত্রছাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে  চৌধুরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মুহিত দুলু, সহসভাপতি সেলিম আহমেদ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ‘উত্তেজিত ছাত্রছাতত্রীদের সাথে আলোচনা করে গত বুধবার দিন রাতেই বিষয়টিকে সমাধান করার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। রাতে শেষ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিলে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকালে আইনগাঁও টু নবীগঞ্জ সড়কের চৌধুরী বাজার নামক স্থানে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে চৌধুরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সেলিম আহমেদ, সাবেক মেম্বার মর্তুজ আলী, বিশিষ্ট মুরব্বি মাহাতাব উদ্দিন, শাহ তাজ উদ্দিন কুরেশী (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দ্বিজেন্দ্র রায় মহাদেব, স্থানীয় সিএনজি সংগঠনের ম্যানেজার দুলাল আহমেদ সহ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ান। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে এবিষয়টি ঈদ উল আযহার পর সমাধানের আশ্বাসে দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দিনারপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ শেষে আইনগাঁও স্ট্যান্ডে গাড়িতে উঠতে চাইলে, সিএনজির চালক তাদের না নিয়ে চলে যায়। এদিকে দুইজন ছাত্র একটি সিএনজিতে উঠে পড়লে। ছাত্রদের সাথে খারাপ ব্যবহার  করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। নবীগঞ্জের প্র্যত্যান্ত অঞ্চল থেকে কয়েক শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী দিনারপুর কলেজ শাহ তাজ উদ্দিন কুরেশী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে আসে। স্কুল শেষে নিরাপদে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র বাহন হল সিএনজি গাড়ি। যাত্রীদের তুলনায় গাড়ি কম থাকায় পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ভুক্তভোগী  শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সিএনজি গাড়ি চালকরা অধিকাংশ সময় তাদের নিতে চায়না।  শীঘ্রই এর একটা চিরস্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে  করছে ভুক্তভোগী  শিক্ষার্থীরা ।