এভারেস্ট জয় করলেন আরেক বাংলাদেশি বাবর আলী

কাজির বাজার ডেস্ক

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চ‚ড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।
গত১ এপ্রিল হিমালয়ের শীতিধার চ‚ড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন। চ‚ড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১১ বছর প্রতীক্ষার পর তৃতীয় মেরুতে উড়ল লাল-সবুজের পতাকা।
যদিও বাবরের অভিযান এখনো শেষ হয়নি, তার লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রবিবার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারও শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুক‚লে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চ‚ড়ায়।
উল্লেখ্য, ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। এর পর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন তিনি। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চ‚ড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।

সিলেটে আড়াই মাসে বজ্রপাতে ৯৮ জনের মৃত্যু

সিলেটে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বজ্রপাত। ঋতু ভিত্তিক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের রূপ পরিগ্রহ করেছে এই প্রাণঘাতী বজ্রপাত। দু’একদিন পর পর সিলেটের কোথাও না কোথায় বজ্রাঘাতে প্রাণহানি ঘটছে। হাওড়-বাওড়, ক্ষেত-খামার কিংবা বাহিরে বের হলেই আতংকে থাকতে হচ্ছে মানুষজনকে। গত আড়াই মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। এদের অধিকাংশই কৃষক। এছাড়া সিলেটের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বজ্রপাতের মতো ঘটনা বাড়ছে। যা অস্থির বায়ু¤øলের ইঙ্গিত। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বজ্রপাতের পরিমাণও বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে গবেষণায় বলেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৮৪ লাখ বজ্রপাত হচ্ছে। যার ৭০ শতাংশই হয় এপ্রিল থেকে জুন মাসে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশে বজ্রপাতের ঘটনা বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের যেসব অঞ্চলে আগে খুব একটা বজ্রপাত হতো না, এখন সেসব অঞ্চলে বজ্রপাত বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি অপর্যাপ্ত আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং বড় বৃক্ষের অনুপস্থিতিকে বজ্রপাতজনিত প্রাণহানির কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে। গরম বেশি হওয়ায় চলতি বছর বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়াবিদরা। চলতি বছর গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন- যেসব অঞ্চলে বজ্রপাত হবে এর মধ্যে রয়েছে সিলেট বিভাগ। এ আশঙ্কা সত্যি করে সিলেটে দু-একদিন পরপরই ঘটছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা।
শুক্রবার ১৭ মে এক দিনেই মাত্র ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেটের দুটি উপজেলায় বজ্রপাতে এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নে বজ্রপাতে খালেদ আহমদ (২০) নামে এক তরুণ এবং এর আগে ওইদিন দুপুরে জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামে রেদোয়ান আহমদ (১২) নামে এক শিশু মারা যায়। নিহতদের মধ্যে খালেদ গোয়াইনঘাট উপজেলার কুতুবনগর গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে। তিনি বাজারে একটি টেইলার্স পরিচালনা করতেন। আর রেদোয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খালেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ডৌবাড়ি বাজারে খালেদের টেইলার্স ব্যবসা আছে। সেখানে কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে জাইবলের পাশের রাস্তায় বজ্রপাতে তিনি নিহত হন।’ এর আগে শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে বাবার সঙ্গে শিশু রেদোয়ান ও তার ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। তখন হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। এসময় বজ্রপাত রেদোয়ানের শরীরে আঘাত করে। দ্রæত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৬ মে সিলেট বিভাগে একদিনে বজ্রপাতে ৩ জন মারা যান। সিলেটের গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে করম আলী (৬৭) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার ছৈলাখেল এলাকার মৃত আফসর উদ্দিন মোল্লার ছেলে। ৬ মে দুপুরে উপজেলার ছৈলাখেল গ্রামে বাড়ির পাশেই খোলা ময়দানে পালিত গরু আনতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
একই দিন মৌলভীবাজারের সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আব্দুল হাই নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের পুদিনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কৃষক আব্দুল হাই হাওড়ে ধান কাটছিলেন। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া ৬ মে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বজ্রপাতে হালিমা খাতুন (৪৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সাটিয়াজুড়ি ইউনিয়নের দারাগাও গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির উঠানে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

কোম্পানীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ঢাকার একটি হাসপাতালে শিপু চক্রবর্তী (৩০) নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ধোপাগুল এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন। নিহত শিপু চক্রবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার কামাইদ গ্রামের সুদর্শন চক্রবর্তীর ছেলে। শিপুর পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে সিলেটের দিকে আসছিলেন শিপু ও তার এক বন্ধু। তাদের মোটরসাইকেল ধোপাগুল এলাকায় আসলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে শিপু ও তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত দুজনের মধ্যে শিপুর অবস্থা ছিলো আশঙ্কাজনক। শিপুকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শনিবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেল ৫টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং রবিবার সকাল ১০টায় বাড়িসংলগ্ন শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

একাদশে ভর্তি শুরু ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত

কাজির বাজার ডেস্ক

চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৫ জুলাই। যা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। এবারও শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তির আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আগামী ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
সম্প্রতি আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ১২ থেকে ১৩ জুন প্রথম পর্যায়ের আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিষ্পত্তি করা হবে। এই সময়েই পুনঃনীরিক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপর ২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।
আর ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের এবং ৯-১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং ১২ জুলাই রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
ভর্তি ফি কত:
ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের কলেজে ভর্তির ফি হবে ৩ হাজার টাকা। জেলা পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনের ভর্তির ফি ২ হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০০ টাকা। নন-এমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজের বাংলা ভার্সনের জন্য সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার, ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার এবং উপজেলায় বাংলা ভার্সনে ২ হাজার ৫০০ এবং মফস্বলে ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছর সব শিক্ষা বোর্ড (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) মিলিয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন।
এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম এমপি

কাজির বাজার ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। দু’দিন ধরে তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ। তিনি জানান, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য বর্ডার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কথা হয়েছে। এরপর থেকে সব প্রকার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।
সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, গত দুদিন ধরে আমার আব্বুর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব ধরনের চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পরিবারের লোকজন কলকাতা যাব।
একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে কোনো হোটেলে না উঠে মন্ডলপাড়া লেন বড় নগরের তার পূর্ব পরিচিত একটি বাড়িতে উঠেন। তিনি যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ির মালিক কলকাতা বড় নগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তার একটি কপি কলকাতার উপ-হাইকমিশন পাঠানো হয়েছে। এরপর কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসেছেন এবং তাকে খোঁজার জন্য একটি টিম তৈরি করেছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, সংসদ সদস্যের নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন পর্যন্ত তার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। ভারতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কলকাতার বাংলাদেশি দূতাবাসে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার খোঁজ করার।
উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট

কাজির বাজার ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেসøাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভিন্নধর্মী তথ্য প্রচার হয়েছে।
তবে ওই এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু এবং উদ্ধারকারী দল পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে ইরনা। এদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।

সিলেটের ১১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ কাল, সাধারণ ছুটি ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় আগামী কাল মঙ্গলবার ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের জন্য ওইসকল উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, কাল মঙ্গলবার সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলা সহ দেশের ১৫৭টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের ১৫ মে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
সিলেট বিভাগের সাধারণ ছুটির আওতাভুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে- সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজার জেলার সদর ও রাজনগর, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও নবীগঞ্জ।

দোয়ারাবাজারে বাদাম সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার

এক সময় যে জমিন অনাবাদি পড়ে থাকত। সে দিকে কারো নজর ছিল না। এখন সে বালুচরে ফলছে বিভিন্ন জাতের বাদাম। অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে বাদাম চাষ। চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় বাদাম সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
সরেজমিন সুনামগঞ্জে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বালিচরায় বিস্তীর্ণ এলাকা ঘরে দেখা যায়। প্রায় ১০০ একর জায়গা জুড়ে হয়েছে বিভিন্ন জাতের বাদাম চাষ। মাঠজুড়ে সবুজ পাতার সমারোহে প্রখর রোদের মধ্যেই উৎসব মুখর পরিবেশে শিশু, নারী, পুরুষ, কৃষাণ-কৃষাণী সবাই মিলে ক্ষেতে থেকে বাদাম তুলছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রোদের মধ্যেই কেউ ছাতা টানিয়ে বাদাম গাছ তুলছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদাম চাষের কারণে এই এলাকায় ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। ধান চাষের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। বাদাম চাষের কারণে বালুচরার জমির দামও কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি একর জমিতে বাদাম হয় ১৫-২০ মন। ১ মন বাদামের দাম ৬ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে বাদামের দাম বেড়েছে মনপ্রতি এক হাজার টাকা। বাদাম চাষি খোকন মিয়া কাজির বাজারকে বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকলে থাকার কারণে বাদামের ফলন ভাল হয়েছে। আর অন্য ফসলের চাইতে বাদাম চাষ করতে খরচও কম লাগে। অল্প কিছু কীটনাশক ও অল্প পরিসরে চাষ দিলেই বাদাম চাষ করা সম্ভব। বাদাম চাষ করতে বাড়তি সেঁচ ও নিরানি কোন প্রয়োজন হয় না। ফলে কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছে। বাদাম চাষি আয়েশা খাতুন কাজির বাজারকে জানান, বাদাম চাষে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না আবার ফসলও ভালো হয়। বাদাম ঘরে তোলা পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার জমিতে স্প্রে করতে হয়। প্রতি স্প্রেতে বিঘায় খরচ হয় ২০০ টাকা। প্রতি বিঘায় দুইবার সার দিতে হয়। আর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি বাজারেও বাদামের ভালো দাম পাওয়ার আশা করছি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন কাজির বাজারকে বলেন, বাদাম চাষে জমি এখন সম্পদে পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাদাম চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এ বছর বাদাম উপজেলায় ২৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে ৯০ জনকে প্রনোদনা হিসেবে বীজ দেওয়া হয়েছে। এবছর ফলন ও হয়েছে ভালো। দাম ভালো হওয়ায় চাষিরা অনেক খুশি।

আসছে বাজেটে বাড়বে শতাধিক পণ্যের দাম

কাজির বাজার ডেস্ক

প্রস্তাবিত বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশে শতাধিক পণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি কমানো ও প্রত্যাহার এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেট ঘোষণার পরই এসব পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দাতা সংস্থার চাপে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা। চলতিবারের চেয়ে আগামী অর্থবছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করতে হবে এনবিআরকে। বাড়তি ভ্যাট আদায় করতে গিয়ে এনবিআরকে অনেক পণ্যের ওপর ভ্যাটের হার বাড়াতে হচ্ছে। ভ্যাটের হার বাড়ানোর জন্য নতুনভাবে ভ্যাট আরোপ করতে হচ্ছে, ভ্যাট অব্যাহতি বা প্রত্যাহার ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হচ্ছে। কোন কোন পণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি ও প্রত্যাহার এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হবে তার চ‚ড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এরই মধ্যে এ তালিকায় সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন অনেক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় সাবান, শ্যাম্পু, অনেক গৃহস্থালি সরঞ্জাম (হোম অ্যাপ্লায়েন্স) থাকার কথাও সূত্র জানিয়েছে। ওষুধের অনেক কাঁচামালও রাখা হয়েছে এ তালিকায়। এসব কাঁচামাল ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করলে তার খরচ বাড়বে। ন্যূনতম লাভ রেখে বিক্রি করলেও ওই সব ওষুধ আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। অন্যদিকে শিল্পে ব্যবহৃত অনেক রাসায়নিকও আছে এখানে। মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হচ্ছে। লিফট, মোবাইল ফোনসেট ও বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়ি, আমদানি করা মোটরসাইকেল, আমদানি করা মোবাইল হ্যান্ডসেট, বিদেশি বিস্কুট, চকলেট, আমদানি করা জুয়েলারি ও প্রসাধনীরও দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বাজেট প্রস্তাব ঘোষণার পরই এসব পণ্যের ওপর ভ্যাটের হার বেড়ে যাবে। আর এতে পণ্য কিনতে হলে বেশি দাম দিতে হবে।
প্রযুক্তি খাতে ভ্যাট অব্যাহতি কমানো ও প্রত্যাহারে কাজ করছে এনবিআর। এর মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে ভ্যাট অব্যাহতি কমাতে হিসাব চলছে। আর এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের খরচ বাড়বে। দেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সার্ভার, মাদারবোর্ড ও এ জাতীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাড়তি ভ্যাট আদায় করতে হলে এনবিআরকে অবশ্যই বিভিন্ন খাতে ভ্যাটের হার বাড়াতে হবে এমন মত জানিয়ে সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল মজিদ বলেন, ‘ভ্যাট যোগ করে পণ্যের দাম হিসেবে আদায় করা হয়। আমাদের দেশে বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ না জেনেই তা পণ্যের দাম হিসেবে পরিশোধ করে থাকে। ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে নিরাপদ হাতিয়ার। রাজস্ব আদায়ে চাপ থাকলেই এনবিআর সহজ পথ হিসেবে ভ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে আদায় করে।’

কিনব্রিজের পাশে হচ্ছে স্বপ্নের ঝুলন্ত সেতু

কাজির বাজার ডেস্ক

যান পারাপারের সামর্থ্য হারিয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যের স্মারক প্রায় শতবর্ষী কিনব্রিজ। সুরমার দুই পারের মানুষের যোগাযোগ সহজ করতে কিনব্রিজের পাশে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের। সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী সুরমার উপর একটি ঝুলন্ত সেতুর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সিলেটবাসীকে।
এরপর সুরমার ওপর তিনটি আরসিসি সেতু হয়েছে। কিন্তু কিনব্রিজের পাশে বসেনি কোনো সেতুর পিলার। সিলেটবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিনব্রিজের পাশে একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রæত প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। কিনব্রিজের পাশে নতুন একটি সেতু নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)।
সওজ সূত্র জানায়, এনডিবি বাংলাদেশের পাঁচটি প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পে ঋণদানকারী ব্যাংকটি ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সিলেট নগরীর সুরমা নদীর ওপর কিনব্রিজের পাশে নতুন একটি সেতু নির্মাণ। প্রকল্পগুলো নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কনফারেন্স রুমে এনডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সভাপতিত্ব করেন।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, কিনব্রিজের পাশে নতুন সেতু নির্মাণে এনডিবি দেবে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর বাকি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের একটি জনসভায় এ সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। তাই প্রকল্পটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সওজ সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের একটি দল পরিদর্শন করে গেছে। তারা সুরমা নদীর নাব্য এবং সেতুটি কতটুকু উঁচু হবে তা পর্যবেক্ষণ করেছে। এখন সওজের পক্ষ থেকে ‘প্রি ডিটেইলস প্রজেক্ট প্রোফর্মা-পিডিপিপি’ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পাঠানো হবে এনডিবিতে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন আরও জানান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ সেতুটি হবে টোল ব্রিজ। এ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হবে।
জানা গেছে, সুরমা নদীর ওপর ১৯৩৬ সালে স্টিল স্ট্রাকচার দিয়ে নির্মিত হয় ব্রিজ। সেতুটি নির্মাণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসাম প্রদেশের সাবেক গভর্নর মাইকেল কিনের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ হয় কিনব্রিজ। প্রায় শতবর্ষী সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে সম্প্রতি ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু সংস্কারের পরও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত না হওয়ায় সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এটি পদচারী সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুরমার দুই পারের জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে নতুন একটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়।