তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারা : সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী বিষয়ক সেমিনারে ড. সালেহ উদ্দিন ॥ চাকুরিজীবী, পেশাজীবী বা তরুণরা ডিজিটাল যুগে এনালগ জীবন যাপন করছেন

49

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারা সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী বিষয়ক এক সেমিনারে গতকাল 0111শনিবার সকাল ১১টায় সিলেট সিটি করপোরেশেন সভা কক্ষে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি সিলেট শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক এড. আনোয়ার হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন।
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ্ শহিদুল ইসলাম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ. কে এম সমিউল আলম, সুনামগঞ্জ জেলার প্রাক্তন সভাপতি শহীদুজ্জামনা চৌধুরী, হবিগঞ্জ বারের সহ-সভাপতি মুরলী ধর দাস, মৌলভীবাজার বারের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বেদানন্দ ভট্টাচার্য, বদরুল আহমদ চৌধুরী, মশরুর চৌধুরী শওকত প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যেমে পারস্পরিক ভাববিনিময়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের জানাবোঝাকে শানিত করার যে সুযোগ রয়েছে তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারর কারণে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোন অসতর্ক মুহূর্তে কোন ফেইসবুক পেইজে ক্লিক করার কারণে বর্ণিত আইনের আওতায় পড়ে কারো চাকুরি যাওয়া বা জেলে যাওয়ার শঙ্কায় আমার মতো অনেক চাকুরিজীবী বা পেশাজীবী বা তরুণ ডিজিটাল যুগে এনালগ জীবন যাপন করছেন। এতে মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাভাবিক সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রকট ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোন ভাবে কাম্য নয় প্রকারন্তরে তাহা মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের সহিতও সাংঘর্ষিক। বিজ্ঞপ্তি