সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন যেন জমে উঠছে না সুনামগঞ্জ শহরে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরীর উদ্যোগে রাজপথে কিছু নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও চলমান আন্দোলনে শহরের নেতাদের অনুপস্থিতি কর্মীদের ভাবিয়ে তুলছে। ১৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির গঠন করা হলেও কার্যত রাজপথের আন্দোলনে এসব কমিটির নেতাদের দেখা যাচেছ না। আন্দোলন মাঝে মাঝে প্রাণ ফিরে পায় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম নূরুলের শো ডাউনে। কিন্তু ৫ জানুয়ারী গণতনস্ত্র হত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলার পর ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আসামী হওয়ায় আন্দোলনে যেন ভাটা পড়েছে। রাজপথের আন্দোলনে সুনামগঞ্জে এখানো দেখা মিলেনি যুবদলের। জেলা সদরে বিভিন্ন মিছিলে নেতাদের উপস্থিতি মাঝে মাঝে দেখা মিললেও কোন কর্মীর দেখা মিলে না। তাই নাছির চৌধুরী নিজ নির্বাচনাী এলাকা থেকে কর্মী এনে আন্দোলন জমানোর অংশ হিসেবে বুধবার সুনামগঞ্জ সিলেট মহাসড়কের দিরাই রাস্তা পয়েন্টে ডাক দিয়েছেন এক গণজমায়েতের।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি বিভিন্ন গ্র“প-উপগ্র“পে বিভক্ত দীর্ঘ দিন যাবত। তারই ধারাবাহিতকায় ছাত্রদল, যুবদলও ভাগ হয়ে যায়। সে মুহূর্তে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নাছির চৌধুরীর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলকে একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বারবার। সর্বশেষ জিয়াউর রহমানে ৭৯তম জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে নাছির চৌধুরীর একটাই বক্তব্য ছিল অন্তন জিয়ার জন্ম দিনে আমরা শপত নেই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে রাজপথের আন্দালনে হাতে হাত মিলাই। সে ডাকে কারা সাড়া দেবে তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। নাছির উদ্দিন চৌধুরী আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সুনামগঞ্জে অবস্থান করে নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ছাতকে অবস্থান করায় আন্দোলনে রাজপথে তার অনুপস্থিতি নেতা কর্মীদের ভাবিয়ে তুলছে। অপর দিকে সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়কের বাড়ী জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ দূরে হওয়ায় তিনিও সময় দিচ্ছেন না জেলা সদরে। তাই রাজপথেই আন্দোল থেকে যুবদল অনেক আগেই হারিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সারাদেশে অবরোধ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিরাই রাস্তায় গণ জমায়েত হবে। সেখানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা কর্মীরা উপস্থিত হবেন। রাজপথের আন্দোলন যেমন বেগবান হবে তেমনি নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবে। আমার একটাই চিন্তা আন্দোলনে নেতা কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ করানো। তার জন্য এ কর্মসূচি। আমি আশা করি আমাদের শান্তিপ্রিয় সে কর্মসূচিতে কেউ বাধা দেবে না।