পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহাত হয়েছে।
কমলগঞ্জে রয়েছে মোট ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৫১টি শূন্য পদের পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে ১ জন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে ৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২ জন লোকের পদ শূণ্য আছে। শিক্ষা অফিসে লোকবল সংকট থাকায় শিক্ষকদেরকে দিয়ে কাজ চালানোর পাশাপাশি উপজেলার বিদ্যালয়গুলো তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নতুন জাতীয়করণকৃত ৬০টি বিদ্যালয়সহ ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও ওই সব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে এসব বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে।
এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজসহ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বিঘিœত হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রায়ই দাপ্তরিক কাজে উপজেলায় যেতে হয়। এতে দুই জন শিক্ষকের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কিছুটা বিঘœ ঘটে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজের পাঠদান বন্ধ রেখে স্কুলের কাজের জন্য ছোটাছুটি করতে হয়। যার ফলে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানের ওপর প্রভাব পড়ে।
এ সম্পর্কে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মনোরমা দেবী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আছে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।