স্টাফ রিপোর্টার :
ব্যক্তি কেন্দ্রীক ইজারা বন্ধ করে সমিতির মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের টোকেন ইজারা প্রদানের দাবি জানিয়েছে নবীন মৎস্য ও কৃষি উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখা। গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাউন্ডেশনের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হাওর বাওর বেষ্টিত সিলেট বিভাগ। এখানকার বিপুল সংখ্যক মানুষ মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মৎস্যজীবীরা যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার। ‘জাল আছে জলা নাই আর পানি আছে মাছ নাই’Ñএই অবস্থা এখানকার মৎস্যজীবীদের। উন্মুক্ত জলমহালগুলো থেকে মৎস্যজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে মাছ আহরণ করে আসছেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে উন্মুক্ত জলমহালগুলো ইজারামুক্ত করায় বিপাকে পড়েন মৎস্যজীবীরা। বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজন জলমহালগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবী। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি আমরা বার বার সরকারের নজরে আনার চেষ্টা করেছি। আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে গত বছর সিলেট বিভাগের উন্মুক্ত জলমহালগুলো বন্টন করে দেয়ার জন্য সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মানিক লাল ধর সমিতির পক্ষে এই অভিযোগ করেন। বর্তমানে এই অভিযোগটি ভূমি আপীল বোর্ডের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। মানিক লাল ধর মৎস্যজীবীদের দাবি দাওয়া আদায়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রভাবশালীরা তার উপর ক্ষুব্ধ রয়েছে। যে কারণে বিভিন্ন সংবাদপত্রে মানিক লাল ধরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সরকারের নিকট তারা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন এম মধ্যে নবীন মৎস্য ও কৃষি উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে টোকেন ইজারা প্রদান, ব্যক্তি কেন্দ্রীক ইজারা বন্ধ, দু’দফায় টোকেন খাজনা পরিশোধ, কৃষি জমিকে মৎস্য খামার বানানো যাবে না, দেশী এবং পোনা মাছ রক্ষার্থে অঙ্গীকার মতো সরকার মৎস্যজীবীদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে এবং মশারীর জাল চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজাদুর রহমান, বুরহান উদ্দিন, বশির মিয়া, লালু মিয়া, সমর উদ্দিন, নূর আহমদ, মোহাম্মদ আলী, মবশ্বির আলী, শুকুর আহমদ, আব্দুল আহাদ, গোলাম আলী, মাসুম আহমদ, কওছর আহমদ, সালমান মিয়া, জলিল উদ্দিন, রহমত আলী, আসক আলী, মনফর মিয়া, ছব্বির আহমদ, প্রমুখ।