স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড আজ শনিবার। এ দিন ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ উপলক্ষে সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে জেলা তথ্য অফিসের প্রচারণাও সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২শ’ ২০টি কেন্দ্রে ৬৭ হাজার ৯শ’ ৪৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্য মাত্রা ৬ হাজার ৪শ’ ৪২জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্য মাত্রা ৬০ হাজার ৯শ’৪২জন, ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর লক্ষ্য মাত্রা ৪০জন, ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৫শ’২২ জন। নগরীতে নিয়মিত টিকা কেন্দ্র ৩০টি, অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ৯০টি, অতিরিক্ত ৭২টি, ভ্রাম্যমান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮টি।
এদিকে, সিলেট জেলায় মোট অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪১৬টি, মোট স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১২টি। মোট অতিরিক্ত কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৯টি। মোট ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৬টি। মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৬৩টি। মোট স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৬৮৬০জন। সিলেট জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৬৩জন। (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৮৬ জন। (৬-১১) মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর মোট সংখ্যা ১৭৫জন ও (১২-৫৯) মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর মোট সংখ্যা ৬৮২ জন।
এদিকে, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৫ উপলক্ষে সিলেট জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচী গত ১৩ নভেম্বর পথ প্রচার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সফল করার লক্ষ্যে সিলেট জেলা তথ্য অফিস জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ ইউনিট করে পথ প্রচার ও প্রতি উপজেলায় ২টি স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। গত ৭ নভেম্বর ২০১৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত জেলার সকল উপজেলায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। প্রচারাভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিলেট জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি।