পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা না হলেও ৪-৫ মাস ধরেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে পৌর এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে। ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একঝাঁক মেয়র প্রার্থী। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে- এমন নিয়ম হওয়ায় স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চলছে লবিং। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন। স্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা। কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আছলম ইকবাল মিলন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভা প্যানেল মেয়র-১ আনোয়ার হোসেন, কমলগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের কাগজ সম্পাদক মোঃ জুয়েল আহমদ।
সরজমিন দেখা গেছে, ভোটাররা প্রার্থীদের কাছে এসে বিভিন্ন সুখ দুঃখের কথা বলছেন। প্রার্থীরাও তাদের সুখ দুঃখ শুনে তারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সকল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন পেতে ব্যস্ত সময় ব্যয় করছেন। পৌর এলাকার অলিগলি আর পাড়া-মহল্লায় করছেন উঠান বৈঠক। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ডিজিটাল বিলবোর্ড টাঙিয়ে দোয়া চাওয়ার চেয়ে ভোর থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন দলীয় নেতাকর্মীর সমর্থন ভাগিয়ে নিতে। সাধারণ ভোটারদের সমর্থন আদায়েও তাদের কমতি নেই চেষ্টার। আর সমর্থন আদায়ে মধ্যরাতে দলের স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে করছেন বৈঠক।
পৌর যুবলীগ সভাপতি মোঃ জুয়েল আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ পৌর এলাকার সকল শ্রেণী-পেশার জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমার যোগ্যতা ও অবস্থান বিবেচনায় আশা রাখি দলীয় মনোনয়ন আমিই পাব। তবে আমার দলের সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধা রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এছাড়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাকারিয়া হাবিব বিপ্লব নির্বাচনী মাঠে আছেন মেয়র প্রার্থী হিসেবে। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে আছেন সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেয়র আবু ইব্রাহিম জমসেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাছিন আফরোজ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সহধর্মিণী রৌশন আরা মুজিব, পৌর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে মাসুক আহমদ এর নাম শুনা যাচ্ছে।
কমলগঞ্জ পৌরসভা ৩০টি গ্রামের সমন্বয়ে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ধলাইনদী বিভক্ত করে গেছে পৌরসভাকে। তাই এপার ওপার নিয়েও রয়েছে বিভক্তি। ধলাই নদীর পূর্ব পারে পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ড আর পশ্চিম পারে রয়েছে ৪টি ওয়ার্ড। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৬৬৮টি।