অবৈধ পানির সংযোগ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। মোবাইল কোর্টের এই অভিযানকালে যাদের অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এছাড়াও অভিযানকালে যাদের বিল বকেয়া আছে তাদেরকেও বিল পরিশোধের জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) সিলেট মহানগরীর শাহী ঈদগাহ, গোপালটিলা ও সোনারপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শরীফুজ্জামান। বেলা ১১ টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কয়েক শতাধিক বাসা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে এই অভিযানে অংশ নেন।
বুধবার অভিযানকালে শাহী ঈদগাহ, গোপালটিলা ও সোনারপাড়া, এলাকায় ৫টি বাসায় অবৈধ পানির সংযোগ খুঁজে পায় সিটি কর্পোরেশনের টিম। এছাড়াও একাধিক বাসায় বছরের পর বছর থেকে বিল বকেয়া থাকলেও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত হয় সিটি কর্পোরেশনের টিম। অভিযানকালে অনেক বাসাবাড়ির মালিকরা পানির বিলের কপি দেখাতেও ব্যর্থ হন।
অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার প্রধান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, অভিযানে এসে আমরা যেসব বাসায় অবৈধ সংযোগ পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ গ্রহনকারীদেরকে অবিলম্বে অনুমতি গ্রহনপূর্বক ফি প্রদান করে তিনদিনের মধ্যে সংযোগ বৈধ করারও সুুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অভিযানকালে যাদের বিল বকেয়া আছে তাদেরকেও বিল পরিশোধের জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ১৩ হাজার ২শ ৫৫ জন গ্রাহক আছেন জানিয়ে আলী আকবর জানান, বর্তমানে প্রতি বছর পানি সরবরাহ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু সেই জায়গায় প্রতি বছর আদায় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা। সুতরাং বকেয়া বিল আদায় এবং অবৈধ সংযোগ গ্রহনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
অভিযানকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টিম ছাড়াও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ জন পুলিশ সদস্যও অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি