স্টাফ রিপোর্টার :
শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামী জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাহি হোসেন মাছুম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা জানালে আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুর রশিদ তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আগামি ১৬ নভেম্বর আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ৮ নভেম্বর রবিবার এই আদালত মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশের একদিনের মাথায় শিশু সাঈদ হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি মাসুম আত্মসর্পণ করলো।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী বিশেষ পিপি এডভোকেট মো. আব্দুল মালেক জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আলোচিত শিশু হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি মাসুম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। এর আগেরদিন ২২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন।
পুলিশের অভিযোগপত্রে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন- র্যাব ও পুলিশের কতিথ সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম।