শিপন আহমদ, ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরে একই দিনে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হচ্ছে উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের গিরিজা কান্ত দেবের পুত্র মন্টু দেব (৪২) ও উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত তইর উল্যার পুত্র কাছাই মিয়া (৪৫)। সোমবার সকালে থানা প্রাঙ্গণের নিকটবর্তী নিহতের চায়ের দোকান থেকে গলায় ছুরির আঘাত ও লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় মন্টুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশের দাবি কয়েকদিন ধরে বন্ধুত্ব গড়ে উঠা রাজুকে নিয়ে রবিবার রাতে এক সাথে খাওয়া-দাওয়া করে দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন মন্টু। ঘুমের মধ্যে রাজু নামের ওই যুবকই মন্টুকে খুন করে পালিয়েছে। অন্য দিকে বাড়ির সামনের নারিকেল গাছের নিচ থেকে কাছাই মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন সোমবার ভোরে গাছ থেকে নারকেল পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। খবর পেয়ে সকাল ৯টায় থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মুরছালিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজু নামের এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব হয় মন্টু দেবের। এরপর থেকে মন্টুর দোকানে ঘুমাতো রাজু। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে খাবার এনে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে রাজুকে নিয়ে দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে পড়ে মন্টু। সকালে দোকানের ভেতর মন্টুর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় ছুরির আঘাত ও পরণের লুঙ্গি গলায় শক্ত করে বাঁধা ছিল। এরপর থেকে রাজুকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজু চারদিন ধরে মন্টুর সাথে থাকলেও তার পরিচয় জানা যায়নি। অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো উপজেলার ব্রাম্মন গ্রাম এলাকার ক্ছাাই মিয়া রবিবার রাতে রাতের খাবার খাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সোমবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান বাড়ির সামনে নারকেল গাছের নিচে কাছাই মিয়ার লাশ পরে আছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওসি মুরছালিন আরও জানান- মন্টুকে খুনের পর দোকান থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকা ও ফ্ল্যাক্সিলোডের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ঘাতক। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতককে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। নিহত কাছাই মিয়ার ব্যাপারে ওসি জানন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার কোন আলামত পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।