কাজিরবাজার ডেস্ক :
২ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এর আগে ২৬ ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান গতকাল বুধবার (২৯ এপ্রিল, ২০১৫)এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রফতানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। রিজার্ভের এ পরিমাণ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ। এর আগে ২৬ ফেব্র“য়ারি প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।
রফতানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়ার ফলে আমদানি চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় এ রিজার্ভ বাড়ছে বলে মনে করছেন কাজী ছাইদুর।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ রিজার্ভ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। তাদের রিজার্ভ ৩১৫ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আট মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। আর এসময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১২৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্স এক দশমিক ৬১ শতাংশ কমার পর এবারের এ প্রবৃদ্ধি রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যদিও ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সাত মাসে ২ হাজার ৬৪৩ কোটি ডলারের আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।
তবে এ সময়ে আবার বেসরকারি খাতে প্রচুর বিদেশি ঋণ আসার ফলে সামগ্রিকভাবে রিজার্ভ বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।