সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় কয়েক দফা শিলাবৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতায় উপজেলার অন্তত ৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে শাল্লায় হাওর রক্ষা বাঁধে ফাটল ধরায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
বৈশাখের শুরুতেই উপজেলার চাপতি ও কালিয়াকোটা হাওর পাড়ের অন্তত ৩৭ টি গ্রামের ৫ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির উৎপাদিত ৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বোরো ধান শিলাবৃষ্টির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুইদিনের টানা অতিবৃষ্টি ও কাল বৈশাখী ঝড়ের ফলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে উপজেলার কালিয়াকোটা, ভরাম, উদগল, চাপতি, কাইছমা, টাংনি, বাধালিয়া, সিংগারবন্দ ও দফের বন্দে অন্তত ৫৮০ হেক্টর বোরো ফসল। বৃষ্টির পানির নিচে চলে গেছে ধান। ফলে ধান কাটার শ্রমিকরা সে ধান কাঠতে চাইছে না।
জানা যায়, বিভিন্ন এনজিও হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ ও হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য খালগুলো স্থায়ী ভাবে বাঁধ দেওয়ায় এ জলাবদ্ধার সৃষ্টি করেছে।
উজান থেকে নেমে আসা পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে, দাড়াইন নদী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পওয়ায় বাঁধের উপর পানির চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। নি¤œমানের কাজের ফলে ইতোমধ্যেই ছায়ার হাওরের মাদারিয়ার খাল, কুশিয়ারা নদীর ডান তীরের বাঁধ, ভেরারডহর ও ভরাম বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
দিরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলছেন, জলাবদ্ধতায় ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা হয়নি, তবে অতিবৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আসিফ বিন ইকবাল বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধের প্রত্যেক পিআইসিকে বাঁধ রক্ষায় প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।