কাজির বাজার ডেস্ক
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশী বেড়েছে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। এসব অভিবাসী ভ‚মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ হলে দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের হাতে ধরা পড়ে। তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনের এ খবর জানিয়েছে। রোববার (১২ মে) এক প্রেস বিবৃতি ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম চার মাস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২১ হাজার ৫৪৫ জনকে তিউনিসিয়া উপক‚লে আটক করেছে তাঁরা। যেখানে গত বছরে একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫৭৬। এই বছর এ পর্যন্ত ৭৫১টি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল গার্ড, যা ২০২৩ সালের ৭৫৬টির কাছাকাছি।
এশিয়া ও আফ্রিকার সাহারা মরুভ‚মির দেশগুলোর অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তিউনিসিয়া ও তার প্রতিবেশি দেশ লিবিয়া থেকে ভ‚মধ্যসাগর দিয়ে সুন্দর জীবনের আশায় ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। এ কারণে দেশ দুটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ইউরোপযাত্রার প্রধান দরজায় পরিণত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জাহাজডুবির ঘটনায় ২৯১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে; যা গত বছর ৫৭২ জন ছিল। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এই সময়ে উদ্ধার অভিযান বেড়েছে প্রায় তিনগুন। গত বছরের এই সময়ে ৬৮৬টি অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে এই বছর এরই মধ্যে পরিচালিত হয়েছে ১ হাজার ৯৬৭টি উদ্ধার অভিযান।
ন্যাশনাল গার্ডের দেওয়া তথ্যমতে, পশ্চিম আলজেরিয়া ও পূর্বে লিবিয়ার সীমান্তে তিউনিসিয়ায় অনুপ্রবেশের সময় ২১ হাজার ৪৬২ জনকে বাধা দিয়েছে তারা, যা গত বছরের ৫ হাজার ২৫৬ জনের তুলনায় চারগুণ।
পাশাপাশি চোরাচালান ও তাদের সহযোগীদের আটকের সংখ্যা এ বছর দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর ৫২৯ জন গ্রেপ্তার ও ২৬১ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২০৩ ও ১২১ জন।
গত বছর সাব-সাহারান দেশগুলির হাজার হাজার মানুষ দারিদ্র্য ও যুদ্ধ থেকে বাঁচতে নিজ মাতৃভ‚মি ছাড়তে বাধ্য হয়। বিশেষ করে সুদান ও তিউনিশিয়ার হাজারো মানুষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে বাঁচার জন্য ভ‚মধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।