বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরে মতবিনিময় ॥ সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা চালু হচ্ছে

163

দেশের সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় এলোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি ইউনানী, আয়ূর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসব বিষয়ের চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি কম্যুনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও এ চিকিৎসা সম্প্রসারণের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হরিপদ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) ইহতেশামুল হক চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আজহারুল ইসলাম।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (এএমসি) গৌরমনি সিংহ, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, পার্কভিউ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অসুল আহমদ চৌধুরী, নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর সত্যরঞ্জন রায়, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও দেশীয় চিকিৎসক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
‘স্বাস্থ্য সেবায় অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার’ কার্যক্রম শীর্ষক মূল উপস্থাপনায় বাংলাদেশ অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার (এএমসি) বিষয়ক সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আবদুল গনি ও অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন কিবরিয়া চৌধুরী। বিশেষ অভিমত প্রদান করেন টীম লিডার মি. জেপি মিসরা।
প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইউনানী, আয়ুর্বেদী ও হোমিও চিকিৎসার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নত দেশেও এসব চিকিৎসা সমাদৃত। আমাদের দেশের সকল সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। আমাদের স্বাস্থ্যখাতে সাম্প্রতিক কালে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন ইউনানী, আয়ুর্বেদী ও হোমিও চিকিৎসার আধুনিকায়নে সরকার খুবই আন্তরিক। সকল পর্যায়ের মানুষের সহযোগিতা ছাড়া এসব পদ্ধতি ব্যাপকভাবে চালু করা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তারা বলেন, ইউনানী, আয়ুর্বেদী ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাছাড়া, এসব ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদান ও ভেষজ নির্ভর বিধায় চিকিৎসা খরচও তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে ভেষজ উদ্ভিদ চাষের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি