সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণমানুষের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে বিচারিক হত্যার চেষ্টা করা হলে এর সাথে জড়িতদের জাতি কোনদিন ক্ষমা করবে না। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, মিথ্যা এবং মিথ্যা। কামারুজ্জামানের অপরাধ তিনি ইসলামী আন্দোলন তথা জামায়াতের রাজনীতি করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিরীহ নিরপরাধ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে অবিচার চালিয়ে হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায়না। সরকারের মন্ত্রী এমপিদের আইন আদালত, মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করেই কামারুজ্জামানকে হত্যার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে জাতি বিস্মিত। ১৯৭১ সালের একজন তরুণের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদন্ড বিচার বিভাগের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মহল আইন ও মানবাধিকার সংস্থার বাধা থাকা সত্তেও এই বিচারেই জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে শহীদ করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে জামায়াতকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করুন। সরকারের চরম জুলুম-নিপীড়ন উপেক্ষা করে জামায়াত এদেশের মানুষের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছে। এখান থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার সাধ্য কারো নেই। টানা ৪৮ ঘন্টার স্বত:স্ফূর্ত হরতাল সফলের মাধ্যমে দেশবাসী এই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। অবিলম্বে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারান্তরীন শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিন।
গতকাল বুধবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় বহাল রেখে রিভিউ আপিল খারিজ করার প্রতিবাদে জামায়াত কেন্দ্র আহুত দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার হরতালের শেষ দিন হরতাল চলাকালে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পিকেটিং শেষে মিছিল করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা আব্দুল আজিজ, রফিকুল হক, ফয়জুল ইসলাম, ছাত্র শিবির নেতা নজরুল ইসলাম ও কয়েস প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি