সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ সিটি কর্পোরেশনকে ভুল বুঝিয়ে পায়রায় প্রবাসীর বাসার কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে

58

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে প্রবাসীর পায়রা দর্শনদেউড়ী ৫০/১ নং বাসার কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসার কেয়ারটেকার সৈয়দ আক্কাছ আলী। গতকাল শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ আমার মামাতো ভাই পায়রা দর্শনদেউড়ী ৫০/১ বাসার মালিক মৃত হাজী আলকাছ মিয়ার পুত্র ফরিদ আহমদ উরফে শফি আহমদ এর বাসার কিছু অংশ ভেঙে ফেলে সিটি কর্পোরেশন। মূলত মৃত মখলিছুর রহমান উরফে মলকাছ মিয়ার পুত্র রেজওয়ান আহমদ ও মোস্তাক রহমান গংরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সিটি কর্পোরেশনকে উদ্ভুদ্ধ করেছেন। আক্কাছ বলেন, আমার মামাতো ভাই শফি আহমদ যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তিনি বেশিরভাগ সময় প্রবাসেই থাকেন। তার স্ত্রী সন্তানেরাও বাইরে থাকেন।
লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আক্কাছ আলী বলেন, দুই দফায় সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে ২০১১ সালে পায়রা ৫০/১ নং বাসাটি নির্মাণ করা হয়। সিটি কর্পোরেশনে রেজওয়ান আহমদ অভিযোগ দায়ের করলে আমাদেরকে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়। আমরা  আইনজীবীর মাধ্যমে তার যথাযথ জবাব প্রদান করি। উপরোক্ত বাসার স্বত্ত্ব নিয়ে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে শফি আহমদ বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি স্বত্ত্ব মামলা (নং ০১) দায়ের করেন। আমরা জবাবে আদালতের মামলা দায়েরের বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকে অবগত করি। কিছুদিন পর উক্ত ভূমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে রেজওয়ান গংদের শোকজ করেন। কিন্তু রেজওয়ান গংরা তার কোনো জবাব দেয়নি। আমরা সিটি কর্পোরেশনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি সাপেক্ষে যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করার পর অযৌক্তিকভাবে ভবনের কিছু অংশ ভাঙ্গার আসল রহস্য এখনো আমরা উদঘাটন করতে পারিনি। এমতাবস্থায় গত ১৮ মার্চ দুপুরে একজন নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে শফি আহমদের বাসার কিছু অংশ ভেঙে ফেলা শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। এ সময় বাসায় থাকা ভাড়াটিয়া ও তাদের সন্তানেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভাড়াটিয়ারা বাসা থেকে বের হয়ে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষে বলেন, তারা বিষয়টি মালিককে জানাবেন এবং এই মুহূর্তে বাসাটি না ভাঙতে অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ চলে যান। অথচ কতিপয় সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে বাসার মালিক নাকি ভবন ভাঙ্গার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি ভবনটি ভাঙ্গতে রাজি হয়েছেন। তাই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ চলে গেছে। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আক্কাছ আলী প্রবাসী শফি আহমদের সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে জেবুন্নেছা রহমান ও তাদের পুত্র রেজওয়ান আহমদ, মোস্তাক রহমান গংদের দখলকৃত অংশটুকু ফিরে পেতে এবং বর্তমানে শফি আহমদের নিজস্ব ভোগকৃত সম্পতি দখলের অবৈধ চেষ্টার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।