স্টাফ রিপোর্টার :
ওসমানীনগরে থানার সামনে দোকানের ভিতরে মন্টু দেবকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত নেত্রকোণা জেলা মদনের আবুন নুরের ছেলে মাছুম আহমদ রাজু (১৯)। গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াই টায় থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বিতীয় জেরিন সূলতানার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
রাজু তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বলে, সে ওসমানীনগরের রবিদাসপুরের সুরত মিয়া বাড়ি তার (মামার বাড়ি) থাকে। সে সুবাদে মন্টুর দোকান থেকে সদাই করত। যার কারণে নিহত মন্টুর সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৩ মার্চ দোকানে আসলে রাত হয়ে যায় ফলে নিহত মন্টু রাজুকে দোকানে থেকে যাওয়ার কথা বলে কাকুতি মিনতি করে এবং রাজু সেখানে থেকে যায়। গভীর রাতে নিহত মন্টু দেব (৪৫) যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে রাজুকে বলাৎকার করার চেষ্টা করে। রাজু তাতে রাজি না হলে মন্টু ধস্তাধস্তি শুরু করে এক পর্যায়ে মান ও প্রাণ বাঁচাতে রাজু দোকানে থাকা মামলার ও রড দিয়ে মন্টুকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সে পালানোর সময় মন্টুর মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং ফোনটি নিয়ে ওসমানীনগরের রবিদাস পুরের সুরত আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৪) এর কাছে রাখে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরসালিন জানান, ওসমানীনগরের মুদির দোকান ব্যবসায়ি মন্টু দেব হত্যায় আটক মাছুম আহমদ রাজু ও তার মামাতো ভাই আব্দুর রহিম। তাদের মধ্যে রাজু আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এবং হত্যা কান্ডের পর লাশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ মন্টুর দোকান থেকে দুটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের ট্যাক উদ্ধার করে যার মধ্যে একটিতে ট্যাবলেট ছিল না।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ সোমবার প্রতিদিনের ন্যায় মন্টু দেব রাত ১২টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ওসমানীনগর থানার নব নির্মিত ভবনের লেবার রাজু নামের এক ছেলেকে সাথে নিয়ে শুয়েছিলেন। ঐ দিন ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন মন্টু দেবের দোকানে চা পান করতে এলে দেখা যায় মন্টু দেবের দোকানের সাটার খোলা এবং দোকানের ভেতর তার লাশ পরে রয়েছে। বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ মন্টু দেবের লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মন্টু দেবের মুখের ভেতর মাপলার ঢুকানো ও গলার বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নবীন দেব (৪৩) বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা ১৪(৩)১৫ মামলা দায়ের করেন।