স্পোর্টস ডেস্ক :
ওয়েলিংটনের রিজিওনাল স্টেডিয়ামে দিলশান-থিরিমান্নে যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন হয়তো প্রার্থনায় ছিল গোটা বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কানরা জিতলেই বাংলাদেশের পরের রাউন্ড নিশ্চিত হবে, ব্যাপারটা তা নয়; তবে সম্ভাবনা বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। শুরুতে সেই ‘সম্ভাবনা’য় অবশ্য শঙ্কা জাগিয়ে দিয়েছিলেন ইংরেজরা। প্রথমে ব্যাট করে তারা দাপটের সঙ্গে করেন ৩০৯ রান। বাঙালিদের তাই প্রার্থনায় বসতেই হয় -সাঙ্গাকারারা যেন ৩০৯’র তরী পর হতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত সেই প্রার্থনা কাজে লেগেছে। ক্রিকেট বিধাতা থিরিমান্নে-সাঙ্গাকারাকে দিয়ে কাজে লাগিয়েছেন। শুরুটা অবশ্য করে দিয়েছিলেন দিলশান। থিরিমান্নেকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন শতরানের জুটি।
১৯তম ওভারে মরগানের শেষ ডেলিভারিতে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে দিলশান ফেরার পর, সাঙ্গাকারা-থিরিমান্নেকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয়ের পথ মসৃণ করেন। লঙ্কান ভক্তদের এতটুকু চিন্তায় ফেলেননি অভিজ্ঞ সাঙ্গাকারা। থিরিমান্নে এদিন শতক পেলেও বেশ নড়বড়ে ছিলেন। বাংলাদেশ ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দুই বার জীবন পেয়েছেন তিনি।
সাঙ্গাকারার শৈল্পিক ব্যাটকে এদিন থামাতে পারেননি রুটরা। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। আর বার কয়েক বেঁচে যাওয়া থিরিমান্নেও শেষমেশ জীবন নিয়ে ফিরে যান। সঙ্গে নিয়ে যান ১৩৯ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস।
খারাপ সময়ে ঘুরপাক খাওয়া ইংল্যান্ড প্রথমে বেশ দাপুটে ব্যাটিং করে। জো রুটের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৩০৯ করে দলটি। মইন আলির সঙ্গে ইয়ান বেলের ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালো হয় ইংল্যান্ডের। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে মইন সুরঙ্গা লাকমলের তালুবন্দি হলে ভাঙে ৯.২ ওভার স্থায়ী জুটি।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রানের জন্য লড়াই করতে হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। ৬.৩ ওভারে অর্ধশতকে পৌঁছানো দলটি নিজেদের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যায় ২০তম ওভারের শেষ বলে।
১০১ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো ইংল্যান্ড বড় সংগ্রহ গড়ে রুটের দৃঢ়তায়। অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানের সঙ্গে ৬০ ও জেমস টেইলরের সঙ্গে ৯৮ রানের চমৎকার দুটি জুটি উপহার দেন রুট। মর্গ্যান ৪৭ বলে করেন ২৭ রান। টেইলর ২৬ বলে ২৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন। রঙ্গনা হেরাথের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন রুট। এটি তার চতুর্থ শতক। রুটের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তিনশ পার হয় জস বাটলারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। শেষ পর্যন্ত সব ঝড় থেমে গেল দিলশান-থিরিমান্নে-সাঙ্গাকারার দাপটে। নাকি বাঙালি প্রার্থানার কল্যাণে?
ইংল্যান্ড: ৩০৯/৬(৫০ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ৩১২/১(৪৭.২ ওভার)
ফল: ৯ উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: সাঙ্গাকারা।