বিয়ানীবাজারে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ট্রাক ভাংচুর

25

IMG-20150301-WA0001এ টি এম তুরাব, বিয়ানীবাজার থেকে :
সিলেট-বারইগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের শেওলা জিরো পয়েন্টে দুষ্কৃতিকারীরা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ও পণ্যবাহী ট্রাক ভাংচুর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মোটর সাইকেল যোগে আসা কয়েকজন যুবক সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারগামী বাসে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে বাস থামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নেমে পড়লে দুষ্কৃতিকারীরা বাসে আগুন ধরিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার সময় বিয়ানীবাজার থেকে সিলেট গামী একটি ট্রাকেও ভাংচুর চালায়। বিয়ানীবাজরে পরপর কয়েকটি বাস ও ট্রাকে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। ঘনঘন নাশকতার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ওসি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিকারীদের সম্পর্কে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।
জানা যায়, গতকাল রবিবার সিলেট থেকে বারইগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস (সিলেট-জ-১১-০২৬৭) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওলা জিরো পয়েন্টে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা বাসকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করেন। চালক বাসটি থামালে যাত্রীদের নামতে বলেন দুষ্কৃতিকারীরা। তাড়াহুড়া করে যাত্রীরা নেমে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা বাসে আগুন দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বাড়ীগুলো থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন। এ সময় দুষ্কৃতিকারীরা বিয়ানীবাজারের দিকে ৪টি মোটর সাইকেল যোগে রওয়ানা দিয়ে পথিমধ্যে একটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো ট-১১-৫৩১১) হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। বাসের চালক মন্নান জানান, বেশ কয়েকজন যুবক বিকট শব্দ করে বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামতে বলে। এ সময় যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পড়লে তারা আগুন ধরিয়ে চলে যায়। দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ৪টি মোটর সাইকেল যোগে আসা দুষ্কৃতিকারীরা শেওলা জিরো পয়েন্টে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় এবং একটি ট্রাক ভাংচুর করে বিয়ানীবাজারের দিকে মোটর সাইকেল যোগে দ্রুত চলে যায়। চেয়ারম্যান জানান, ঘটনার সময় দুষ্কৃতিকারীরা এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ওসি জুবের আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপরাধীদের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য প্রচেষ্টা চলছে।