হরতালে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা কর্মব্যস্ত ॥ সাধারণ মানুষ বলছে এটা তামাশা

27

স্টাফ রিপোর্টার :
টানা হরতাল-অবরোধে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের স্থানীয় নেতাকর্মীরা কর্মব্যস্তার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন। বিশেষ করে ২০ দলের দুই দল বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হরতালে তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে দিব্যি ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। অথচ পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে তারা জনগণকে হরতাল পালনের আহবান জানাচ্ছেন। যা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই হাস্যকর।
হরতালে সাধারণ মানুষ পুরো দমে অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এখন আর হরতালের দিকে চেয়ে থাকছেন না। গত কয়েক দিনের টানা হরতালে সিলেট মহানগরীতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত যে সব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর বেশীর ভাগই খোলা। দলের নেতারা অনেকেই জেলে অথবা গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তাদেরই আত্মীয় স্বজন দিয়ে চালাচ্ছেন। যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, নেতাদের মালিকানাধীন সহ দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ছাত্র শিবিরের দোকান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পেট্রোল পাম্প, যানবাহন ব্যবসা হরতাল-অবরোধে সচল রেখেছেন। হরতালে নেতাকর্মীরা নগরীর রাজপথে কোন পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। দূরপাল্লা ও আন্ত:জেলা বাস চলছে, তবে যাত্রী একটু কম। সরকারী-বেসরকারী অফিস চলছে আপন গতিতে। অনেকস্থানে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও থেমে নেই। তবে ঘোষণা নির্ভর কর্মসূচী একঘেয়ে হয়ে গেছে।
বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, রিকাবীবাজার কীনব্রীজ মোড়, কদমতলী পয়েন্ট, স্টেশন রোড ও হুমায়ুন রশীদ চত্বর ঘুরে দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। ফুটপাত ও দোকানের সামনের সড়কে রিক্সা-ভ্যান, লেগুনা, অটোরিক্সা হরদমে চলছে।
হরতালের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দরবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাজিম মিয়া জানান, হরতাল কোথায় দেখলেন? জ্যামে পইরা সময়মতো ব্যবসায় যাইতে পারছি না।
কদমতলী বাস টার্মিনালের কাপড় ব্যবসায়ী ফয়ছল বলেন, এই দেখেন না হরতালে রাস্তায় যানবাহনের সারি দেখা যায়। যাত্রীরা ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছেন, নামছেন।
আদালতের পেশকার মিনহাজ হোসেন বলেন, ভাই কি বলবো হরতালে জ্যামের কারণে কীন ব্রীজ পার অইতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লেগেছে।