স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারানোর পর বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। এদিন আমিরাতের বিরুদ্ধে জয় পেতে অবশ্য খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডকে।
ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আমিরাতের করা ২৭৮ রান টপকাতে নেমে প্রথমে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় আইরিশরা। গার্গির বলে মাত্র ৩ রান করে পাতিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টারলিং। এরপর জোসি আর পোর্টারফিল্ড ৫৯ রানের জুটি গড়েন।
মাঝে জোসি স্রেফ ভাগ্যের জোরে একবার বেঁচে যান। গার্গির বল সরাসরি তার স্ট্যাম্পে লাগে। স্ট্যাম্পের এলইডি আলোও হেসে ওঠে। কিন্তু বেল মহাশয় একটু নড়েই জায়গায় বসে পড়েন। তর্জনী ওঠাতে যেয়েও থেমে যান আম্পায়ার। শেষ পর্যন্ত জোসিকে ফিরতে হয় আমজাদ জাভেদের বলে। জীবন পেয়েও ব্যক্তিগত রানটাকে তিনি ৩৭’র ওপরে ওঠাতে পারেননি তিনি।
জোসি ফিরে যাওয়ার পর পোর্টারফিল্ড (৩৭) এবং নিল’ও ব্রেইনও (১৭) দলকে হতাশ করেন। বলবার্নিও করেন ৩০ রান।
কিন্তু পরে দলের হাল ধরেন গ্যারি উইলসন ও কেভিন ও’ব্রাইন। উইলসন করেন ৬৯ বলে ৮০ ও কেভিন ও’ব্রাইন করেন ২৫ বলে ৫০। উইলসনের উইকেটটি আয়ারল্যান্ডকে খানিকটা বিপাকে ফেলে। তার আউটটি ছিল দলের অষ্টম উইকেটের পতন।
এরপর কুসাক ও ডকরেল ব্যক্তিগত ৫ ও ৭ রান করে ৪ বল বাকি থাকতে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেয়। এদিন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন গ্যারি উইলসন।
এদিন প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আরব আমিরাত। শুরুটা একদম খারাপ ছিল না আমিরাতের। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। স্টারলিংয়ের বলে পোর্টারফিল্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রেনগার (১৩)।প্রথম উইকেটের পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় আমিরাত। দলীয় স্কোরে আর ৪ রান উঠতেই ফিরে যান কৃষ্ণ চন্দ্র (০)। স্টারলিংয়ের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর দলীয় ৭৩ রানে ফিরে যান দারুণ খেলতে থাকা আমজাদ আলী। ৭১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
আমজাদ আলীর পর দ্রুত ফিরে যান এসপি পাতিল (২)। এরপর খুররাম এবং আনোয়ার খোলসের ভেতর ঢুকে যান। দুজনে ৪৭ রানের জুটিও গড়েন। ৩২তম ওভারের চতুর্থ বলে ডকরেলের বলে খুররামের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
এরপর জাভেদ এবং আনোয়ারের লড়াকু জুটিতে স্বস্তির স্কোরের পথে হাঁটতে থাকে আমিরাত। দুজনে দলকে উপহার দেন ১০৭ রানের জুটি।
৪২ রান করে আমজাদ যখন ফেরেন, তখন আমিরাতের দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৮। বাকী ছিল ৪ ওভার। সেই চার ওভারে ৪০ রান তোলে দলটি। এ সময় নেতৃত্ব দেন আনোয়ার এবং নাভিদ। দুজনে মিলে করেন ৩১ রানের জুটি। পুরো ইনিংসে দারুণ ব্যাট করা সাইমন আনোয়ার আউট হওয়ার আগে ৮৩ বলে ১০৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে আনোয়াররা ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জ জানান আইরিশদের।