সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
টানা হরতাল-অবরোধের ৪৫ দিনে এসএমপির ৬ থানায় ২৮টি নাশকতার ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় সিলেটের জামায়াত-বিএনপি’র শীর্ষ ৬ নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৬৬ জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ১৯৬ জন নেতাকর্মীকে এবং মামলার এজাহার নামীয় আরও ১৭০ জন নেতাকর্মী পলাতক রয়েছেন। এসএমপির ৬ থানার আসামীর তালিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উঠে এসেছে গ্রেফতারের এই চিত্র।
এসএমপির নথি শাখা থেকে জানা গেছে, অবরোধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমা থানায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, বিস্ফোরক, প্যানেলকোড ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মোট ১০টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই ১০ মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও তার সংগঠনের ৭৫ জনকে গ্রেফতার ও আসামী করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা লোকমান আহমদসহ ৭৫ জনকেই গ্রেফতার করেছে।
মোগলাবাজার থানায় নাশকতার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আসামী করা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের ৪১ জনকে, সবাইকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শাহপরাণ থানা এলাকায় হরতাল-অবরোধে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। যে কারণে এই থানায় কোনো মামলা নেই। তবে, এই থানা এলাকার বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তাদের গ্রেফতার করে এসএমপির বাকি থানায় করা মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএমপির সবচেয়ে বড় থানা কতোয়ালি মডেল থানা। এই থানা এলাকায় নাশকতার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার মোট আসামি ৬০ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে। এই থানার গ্রেফতার তালিকায় রয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান, মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াত নেতা হাফিজ আবদুল হাই হারুন ও মাওলানা সোহেল আহমদ।
এয়ারপোর্ট থানায় নাশকতার ঘটনায় মোট ৪টি মামলা করা হয়েছে। চার মামলায় আসামী ৪০ জন। এর মধ্যে ২০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জালালাবাদ থানার নাশকতার মামলা মোট ৬টি। আসামি ১৫০ জন, গ্রেফতার ২০ জন।
মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বলেন, নাশকতার ঘটনায় করা মামলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’