স্টাফ রিপোর্টার :
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছে ন, বিএনপি’র চলমান আন্দোলন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটা সন্ত্রাসী আন্দোলন। এটাকে দমন করা আমাদের দায়িত্ব। বিএনপি চেয়ারপার্সনের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি বাসায় বসে আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেন। তিনি সমাবেশ ডাকেন না। তার কিছু গুন্ডাপান্ডা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্ট করছে।এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘সন্ত্রাসের রানী’ হিসাবে মন্তব্য করেন। গতকাল রবিবার সিলেট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার কামালউজ্জামানের সভাপতিত্বে জজকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মুহাম্মদ জহিরুল হক, সিলেটের বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান, মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের পিপি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বক্তব্য রাখেন সরকারী কৌশলী খাদিমুল মিল্লাত জালাল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আব্দুল মান্নান, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ কে এম সামিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক অসুক পুরকায়স্ত, আমিনুল ইসলাম মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান ও পুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন, সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দেশের সবক’টি জেলায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেটে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবী ও বিচারকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। আইন মন্ত্রী আরো বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের আগে তাদের বিচার করতে হবে। এর পর তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে। অর্থমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে‘দেশের শত্র“’ হিসেবেও আখ্যা দিয়ে তাকে পরিহার করা দেশের জনগণের উচিত বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ৫তলা সিলেট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নতুন ভবনের আয়তন ১৭ হাজার ৩শ’ ১৪ বর্গফুট। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশ উন্নয়ন লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে। ভবনের প্রথম তলায় রয়েছে হাজতখানা (পুরুষ ও মহিলা), রেকর্ড রুম, মালখানা, নেজারত, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অফিস, পিপি ও এপিপিদের রুম। দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুম, লাইব্রেরি ও দু’টি এজলাস কক্ষ রয়েছে। তৃতীয় তলায় ৪টি এজলাস কক্ষ, ৪র্থ তলায় ৪টি এজলাস কক্ষ, ৫ম তলায় ৩টি এজলাসসহ মোট ১৩টি এজলাস কক্ষ এবং নতুন এ ভবনের উত্তর-দক্ষিণে ২টি লিফিট রয়েছে।