কে এম লিমন/এস এম রাজু জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাপুর থেকে ৮টি শক্তিশালী ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা জানতে পারেন সীমান্ত এলাকা জাফলং দিয়ে বোমা’র চালান সিলেটে প্রবেশ করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ৫ বিজিবি শ্রীপুর ক্যাম্পের সামনে চেকপোষ্ট বসান। এ সময় বিভিন্ন গাড়ীতে তল্লাশি করে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখী যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (সিলেট-ব-১১-০৩২৬) তল্লাশির এক পর্যায়ে মাইক্রোবাসের পিছনের সিটের বাম পার্শ্বের নিচে ১টি কাপড়ের বেগ পড়ে থাকতে দেখেন। বিজিবি যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলেও ব্যাগটির প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় বিজিবি’র সন্দেহ হলে কালো কাপরে মুড়ানো ব্যাগটি খুলে দেখা যায় ৩টি পাঁচশত গ্রাম ওজনের ভারতীয় জিরার প্যাকেট রয়েছে। প্যাকেট চেক করলে ৮টি ককটেল পাওয়া যায়।
ককটেলগুলো শ্রীপুর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে উদ্ধার করে মাটির গর্তে রাখা হয়। এদিকে ককটেল উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ৫বিজিবি কমান্ডিং অফিসার মেজর আব্দুর রহমান ও জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুুর রশিদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ ব্যাপারে ৫বিজিবি শ্রীপুর কোম্পানী কামান্ডার আব্দুর রশিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা চেকপোষ্ট বসিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়ীর সিটের নিচে জিরার প্যাকেট থেকে ৮টি ককটেল উদ্ধার করি।
এ ব্যাপারে ৫বিজিবি কমান্ডিং অফিসার মেজর আব্দুর রহমান বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক বিশৃংখলা সৃষ্টির লক্ষে এগুলো আনা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা সোচ্চার থাকায় ককটেল গুলো শহরে প্রবেশের আগেই তাদের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপরে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের ধারণা ককটেল গুলো নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। তবে কে বা কারা এগুলো নিয়ে এসেছে বিষয়টির প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। এদিকে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ককটেল গুলো শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্পে রয়েছে।