আজ থেকে সব বেসরকারি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে

26

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবশেষে মহাকাশের বুকে মাথা উঁচু করে ঠাঁই নেয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সুফল পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ থেকে দেশের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে সম্প্রচারিত হবে। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের।
গত বছরের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটটি নিয়ে সফল উৎক্ষেপণ করে স্পেসএক্স। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মহাকাশের বুকে জায়গা করে নেয়।
দীর্ঘ এক বছর পর এর বাণিজ্যিক সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ১২ মে টিভি চ্যানেলগুলোকে ভূমি স্টেশনের পরিবর্তে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে সংযোগ খরচও অনেক কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লি. (বিসিএসসিএল)’র চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ জানান, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের এক বছর পূরণ হয়েছে। তবে ১২ মে পরিবর্তে ১৯ মে এক উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১২টি টিভি চ্যানেল বিএস-১ এর সেবা নিয়ে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাকিরা আগামী ১৯ মে’র আগেই এই স্যাটেলাইটে সংযুক্ত হবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক হোটেলে বলেন, ১৯ মে থেকে দেশের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সম্প্রচারিত হবে।
বিসিএসসিএল’র চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিকভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বিএস-১ এর ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে তাদের এটিএম পরীক্ষামূলক চালু করবে। তবে অধিকাংশ এটিএম এই সার্ভিসের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলও ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।
বর্তমানে দেশে অন্তত ৪০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছ এবং এটিএম বুথের মোট সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি।
এ বিষয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন জানিয়েছেন, তারা পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টায় ভালো রেজাল্ট পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়া যাবে।
এই স্যাটেলাইটে রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হয় এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আশা করা হচ্ছে এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।