জকিগঞ্জে শিবির নেতার চাঞ্চল্যকর তথ্য ॥ হাই কমান্ডের নির্র্দেশে বিভিন্ন স্থানে গাড়ী পুড়াই

49

জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গত রবিবার রাতে জকিগঞ্জের রতনগঞ্জ থেকে আটক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার জাকির আহমদ আদালতে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি প্রদান করেছে। গতকাল সোমবার জকিগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কাশেম আটককৃত জাকির আহমদকে জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আকবর হোসেনের আদালতে হাজির করলে শিবির নেতা গাড়ী পুড়ানো ও ভাংচুরের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে শিবির ক্যাডার জাকির আদালতে জানায়, উপজেলা জুড়ে নাশকতা করতে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের ১০ শিবির নেতা নিয়ে নাশকতা স্কোয়াড টিম গঠন করা হয়েছে। শিবিরের হাইকমান্ডের নেতাদের নির্দেশে ১০ সদস্যর স্কোয়াড টিমের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্নস্থানে গাড়ী পুড়ানো ও ভাংচুর করা হয়। জকিগঞ্জে বড় ধরণের নাশকতা করার প্রস্তুতি ছিল জানিয়ে সে আরও বলে উপজেলায় বড় ধরণের নাশকতা করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত যেকোন সময় তা বাস্তবায়ন করা হবে। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আবুল কাশেম শিবির নেতা জাকিরকে রতনগঞ্জ বাজার থেকে আটক করেন। আটক জাকির রতনগঞ্জ আঞ্চলিক শিবিরের সভাপতি। সে ফুলতলী গ্রামের মোস্তফা আহমদের ছেলে।
উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারী উপজেলার আটগ্রামের নোয়াগ্রামে যাত্রীবাহী বাস মুক্তা এন্টার প্রাইজে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাসের চালক দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শনিবার রাতে পুলিশ এসল্ট মামলার পলাতক আসামী শিবির নেতা আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। আটক আবু সাঈদকে গতকাল জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।