আল-হেলাল, সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের শাল¬া উপজেলায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা এফআইআর করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জামির হোসেন (৩৫) এর পিতা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ছিকাডুবি গ্রামের মতিন মিয়া বাদী হয়ে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট ২০ জনকে আসামী করা হয়। শাল¬া থানার হত্যা মামলা নং ১ তারিখ ১/২/২০১৫ ইং। সোমবার ভোরে উক্ত হত্যাকান্ডের দায়ে স্থানীয় দাউদপুর গ্রামের প্রেমানন্দ দাসের পুত্র প্রেমতোস দাসকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন দাবী করছেন জামির হোসেন জীবদ্দশায় একজন পেশাদার চোর ছিলেন। শনিবার রাতে তাকে আটক করতে গেলে সে তার দলবলসহ পুলিশের উপর আক্রমণ চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। গুলিতে জখমের পর রবিবার বিকাল ৩টায় গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশটিকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও বিশেষ ফায়দা হাছিলের অসদুদ্দেশ্যে ৩ বারের নির্বাচিত স্থানীয় আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান জুনেদ মনির প্রদীপ ও তার ৪ চাচাতো ভাইসহ বিভিন্ন গ্রামের ২০ ব্যক্তিকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু করে পুলিশ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি সরকার দলীয় লোকদেরকে মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে হয়রানীর অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। শাল্ল¬া থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, রবিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নিহত জামির হোসেনের লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে লাশের গায়ে গুলি ও জখমের চিহ্ন পরিলক্ষিত হওয়ায় নিহতের পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের নাম পরিচয় সম্পর্কে কোন তথ্যই দিতে রাজী হননি ওসি। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন, নিহত জামির হোসেন ইতিপূর্বে একটি দাঙ্গার মামলার আসামী ছিল। এদিকে শাল্ল¬া উপজেলা চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, আটগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী,দাউদপুর বাজার কমিটির সভাপতি শোসেন মাস্টারসহ এলাকার লোকজন পুলিশ কর্তৃক নিরীহ প্রেমতোস দাসকে এ মামলায় আটক করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, অনেক নিরীহ নিরপরাধ লোকজনকে ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে উক্ত হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।