স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সিলেটে নেতাকর্মীরা নগরীতে গাড়ী ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও ঝটিকা মিছিলের মধ্যে দিয়ে হরতাল পালন করেছে। তবে নগরীর কদমতলী বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না গেলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বন্ধ ছিল বেশির ভাগ দোকানপাট ও মার্কেট। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে নগরীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোর থেকেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে গাড়িযোগে টহল দিচ্ছিল তারা। মাঠে রয়েছে বিজিবিও। এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।
জানা গেছে,গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ ও মদন মহন কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিহাব খানের নেতৃত্বে মদিনা মার্কেট এলাকায় মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে ছাত্রদল কমীরা ৭/৮টি গাড়ি ভাংচুর করে এবং ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। রাত ৭টার দিকে নগরীর বারুতখানা পয়েন্টের পাশে আজগর স্কয়ার এর সামনে পরপর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটায় হরতাল সমর্থনকারীরা। এতে আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যেই স্থান ত্যাগ করে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী, বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাঠ। জনশূন্য হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এ সময় ককটেল হামলায় ফটো সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল আহত হন। এছাড়া, কোনো এলাকায় হরতাল কিংবা অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। ফলে অনেকটাই নিরুত্তাপ ছিল নগরীতে হরতাল। দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ধোপাদীঘিরপার এলাকায় হরতালের সমর্থনে ছাত্রদলের ১৫/১৬ জন নেতাকর্মী একটি ঝটিকা মিছিল বের করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এদিকে, সকালের দিকে যান চলাচল একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে দেখা গেছে। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যানবাহনের চাপের কারণে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটেরও।