জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
আগামি ৮ ফেব্র“য়ারি মামলায় বিএনপির চেয়ার পার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন এবং তিনি গ্রেফতার হলে দেশ ব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা চালিয়ে দেশে সরকার বিরোধী নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে। এমন আশঙ্কায় এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই ধারবাহিকতায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিএনপি ও অঙ্গ-সংঠনের সক্রিয় নেতাকর্মীদের ধর-পাকড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর-শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা মিতালী রেস্টুরেন্টের পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সেই সাথে পৃথক অভিযানে জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রদল নেতা ও অটোরিক্সা শ্রমিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম খেজরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ৮ তারিখকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নাশকতা মূলক কর্মকান্ডের প্রস্তুতি কালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে-জগন্নাথপুরে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধর-পাকড় শুরু হওয়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিলেও জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও দলের প্রতিটি আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দানকারী নেতা মির্জা আবুল কাশেম স্বপনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর বাজারে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দেয়া জগন্নাথপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমএ শহীদ জানান, আমরা পালিয়ে থাকলেও মির্জা আবুল কাশেম স্বপনের ভাই আ.লীগ নেতা হওয়ায় তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।