দোয়ারাবাজারে নিখোঁজের তিন মাসেও দুই কিশোরের খোঁজ মিলেনি

23

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নিখোঁজ দুই মাদরাসা শিক্ষার্থীর খোঁজ মিলেনি আজও। এক মাসের ব্যবধানে একই প্রতিষ্ঠানের দুই কিশোর নিখোঁজের পর থেকে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ অবধি দুই কিশোরকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তারা অপহরণ হয়েছে কিনা তারও কোনো হদিস নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে। নিখোঁজের তিন মাসেও কিশোর জসিম উদ্দিনের সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে এখন চরম হতাশা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আমবাড়ী গোপালপুর হেফাজতে ইসলাম মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী বসন্তপুর গ্রামের রইছ আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (১২) গত ১৯ অক্টোবর বিকেলে লজিং থেকে মাদ্রাসায় যাবার পথে নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে অনেক খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে গত ২১ ডিসেম্বর একই প্রতিষ্ঠানের জুগিরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদ হোসেন (১১) নিখোঁজ হয়। পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা দুই শিক্ষার্থী হয়তো কোনো অপহরণ চক্রের খপ্পড়ে পড়েছে। আবার অনেকে বলেছেন তারা হয়তো লেখাপড়ার চাপে পালিয়ে দুজনই একসাথে কোথাও আত্মগোপনে রয়েছে।
অপর দিকে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হবার পর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে রয়েছেন উদাসীন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, কিশোর ছেলেদের রাতের বেলা মাদ্রাসায় গিয়ে লেখাপড়ার চাপ, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ে হয়তো তারা পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান মাওলানা সাজিদুর রহমান জানিয়েছেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও আন্তরিকভাবে তাদের সন্ধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে সন্তান হারানোর বেদনায় এখন পরিবারের লোকজনের মধ্যে  চলছে আহাজারি। তাদের সন্তান বেঁচে আছে কি নেই এমন খবরও নেই তাদের কাছে। দুই কিশোরের পরিবারের লোকজনই এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি সেলিম নেওয়াজ বলেছেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।