সিলেট মহানগরীর রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। রাস্তা সংস্কারের নামে জনদুর্ভোগ বাড়ানো সমুচিত নয়। ফলে নগরীতে চলাচলকারী যানবাহনসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
মহানগীর প্রতিটি রাস্তার যে অবস্থা তা দেখার কেউ আছে বলে মনে হয় না। নগরময় রয়েছে, রাস্তাগুলোর মধ্যে অসংখ্যক নালা-নর্দমা, যেখানে-সেখানে অযথা ভাঙ্গা-চোরা করে, খুঁড়া-খুড়ির প্রেক্ষিতে নগরীর সৌন্দর্যকে অসৌন্দর্য করার মশগুলে ব্যস্ত। এসব রাস্তাগুলো খুড়াঁ-খুড়িতে সমস্থ নগরী কাঁদা-মাটির ছড়াছড়িতে নগরী দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হয়ে উঠছে।
অলি-আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটকে সাজানো-গোচানোর দায়িত্ব সিলেটবাসীর প্রকৃত দায়িত্ব হলেও আমরা অলি-আউলিয়াদের মর্যাদা দিতে কি পারছি। আমাদের কর্তব্য হবে মহা-সম্মানিত অলি-আউলিয়াদের সম্মানান্তে এ পুণ্যভূমিকে সদা-সর্বদা সৌন্দর্য ভরপুর রাখা। আমরা কি বাস্তবে নগরীর মর্যাদা রক্ষা করতে পারছি।
সিলেট মহানগরী এক সময়ে পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে, ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে ২৭টি ওয়ার্ডে রূপ নিয়েছে। আরো ওয়ার্ড বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে, পূর্বের চেয়ে আয় শতগুণ বেড়েছে। কর্পোরেশনের যে আয় হচ্ছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ সাহায্যে বাহির থেকে পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা ততটুকু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না নগরবাসী।
নগরীকে উন্নয়নের নামে ভালো রাস্তাকে ভেঙ্গে দিয়ে পুন:নির্মাণের কথা বলে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ না করে অন্য রাস্তা কেটে শুধু দুর্ভোগ বাড়ানো হচ্ছে। বলতে গেলে নগরীর সব-কয়েটি রাস্তাই নগরবাসীর মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টি দিলে কাঁদা মাটির ছড়াছড়ি আর রৌদ দিলে ধূলো-বালির ছড়াছড়িতে নাগরিক জীবন এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
আধ্যাত্মিক রাজধানীর মর্যাদা রক্ষায় নাগরিক জীবনকে সুগম করতে জরুরী ভিত্তিতে নগরীর রাস্তা গুলোকে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হউক।