বালাগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গতকাল শনিবার কিন্তু বিভিন্ন কারন উলে¬খ করে সম্মেলনের তারিখ পিছানো হয়েছে। উপজেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, সম্মেলনের জন্য ভাল স্থান না পাওয়া এবং প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় নির্ধারিত তারিখে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা বিএনপির অপর একটি পক্ষের দাবী ঘরোয়া কোন্দল, নিজেদের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্ধ-গ্র“পিং এবং নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র সম্মেলনের তারিখ পিছানো হয়েছে। এদিকে পক্ষকাল ব্যাপি পুরো উপজেলায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। এদিকে কয়েক দফা মাইকিং সহ বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাদের ছবি সম্মলিত ব্যানার, বিলবোর্ড, পোষ্টার সাঁটানো হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কে বেশ কয়েকটি তুরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধান অতিথি এবং সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট নুরুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। দলীয় সূত্র জানায়, ২০১০ সালের প্রথম দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী সম্মেলনের মাধ্যমে বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটির অনুমোদন দেন। এ কমিটিতে কামরুল হুদা জায়গীরদার সভাপতি এবং ফারুক মিয়াকে সেক্রেটারী করা হয়। প্রায় ৭মাস পূর্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। হাজী গেদাই মিয়াকে আহবায়ক করে এ কমিটি করে দেন ইলিয়াছ পতœী লুনা। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেয়া হয় এবং শনিবারে সম্মেলন করার তারিখও ধার্য করা হলেও তা পন্ড হয়ে যায়। উপজেলা বিএনপির একাংশ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে সম্মেলনের আগেই বৃহস্পতিবার রাতে অঘোষিত ভাবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামরুল হুদা জায়গীরদারকে সভাপতি এবং মুজিবুর রহমান মুজিবকে সেক্রেটারী মনোনিত করা হয়েছে যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী। কাউন্সিলরদেরকে মূল্যায়ন করা না হলে পরবর্তীতে তারা সম্মেলন বয়কট করবেন বলেও জানিয়েছেন।
